পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে খুলনার শ্রম বাজার। মধ্যবিত্তরা কিছুটা কষ্টে দিনাপাত করলেও স্বচ্ছলভাবে দিন কাটাছে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করে খাওয়া শ্রমিক পরিবারগুলো।
দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে শ্রমিকদের চাহিদা বেড়েছে এ অঞ্চলে। খুলনার সাত রাস্তার মোড়, বয়রা বাজার, দৌলতপুর বাজারে প্রতিদিন সকালে শ’ শ’ লোক কাজের সন্ধানে ভিড় জমায়। যেখান থেকে দৈনিক মজুরির বিনিময়ে শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হয় ধানকাটা, মাছের ঘের ও নির্মাণ কাজের জন্য। দৈনিক ৫শ’ থেকে ৮শ’ টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন কাজের জন্য। শ্রমিকদের চাহিদা থাকায় কাউকে বসে থাকতে হয় না। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ঠিক কাজ করার সুযোগ পায় এসব শ্রমিকরা। এদিকে ধানকাটা চলছে খুলনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়। যার জন্য শ্রমিকদের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত ভাড়া আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ায় রিকশাওয়ালা, অটোরিকশা মাহেন্দ্রা চালকদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বচ্ছল হচ্ছে এ সকল দৈনিক শ্রমিকদের পরিবার।
খুলনা থেকে সাতক্ষীরা যাবার পথেই কইয়া বাজার। বাজারের শেষ মাথায় প্রতি সপ্তাহেই জড়ো হয় শ’খানেক মানুষের। সেখানে বসে সাপ্তাহিক হাট। প্রতি শনি আর বুধবার এখানে মানুষের হাট চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। হাটের নিয়ম হলো সর্বনিম্ন এক সপ্তাহ থেকে তারও বেশি সময়ের জন্য একজন মানুষ বিক্রি হয়ে যান অন্যজনের কাছে। বিনিময়ে প্রতি সপ্তাহের জন্য পান ২ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।
দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিক মো. মিলন হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, করোনার প্রভাবে দীর্ঘ দিন কাজ না থাকায় অনেক দেনা হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে খুলনাঞ্চলের শ্রমিকদের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। কাজ পেতে কোন অসুবিধা না হওয়ায় গত ২ মাস ধরে আমি একভাবে কাজ করেছি। আমার দেনা শোধ করে কিছু টাকা জমা করতে পারছি। পরিবার নিয়ে ভালো দিন কাটাচ্ছি। এভাবে সারা বছর কাজের সুযোগ থাকলে আমাদের আর অভাব থাকবে না, ইনশাল্লাহ।
বাস্তহারা এলাকার সেলুন শ্রমিক মো. ওয়াহেদ হোসেন জানান, করোনার কারণে সেলুন খোলা যাচ্ছিল না। সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়া বিকল্প আয়ের চিন্তা থেকেই সামান্য পুঁজি নিয়ে করোনা পন্য মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও স্প্রেবক্স বিক্রি শুরু করেছি। গত কয়েক মাস ধরে এ ব্যবসা থেকে ভালোই লাভ হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।