পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সঙ্কটসহ চলমান অর্থনীতিক নেতিবাচক পরিস্থিতিতে তুলনামূলক ভালো আছেন সিলেটের নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ। বলতে খেলে খেটে খাওয়া এ বৃহৎ জনগোষ্ঠী অনেকাংশে ভালো। ‘দিন আনে দিন খায়’ তবুও স্বস্তিতে তারা। তবে সিলেটে পাথর কোয়ারী কেন্দ্রিক শ্রমজীবী নিম্নবিত্তের মানুষ চরম সঙ্কটে রয়েছে কোয়ারী কেন্দ্রিক জটিলতায়।
এদিকে, নিম্নবিত্তের বৃহৎ জনগোষ্ঠী বিশেষ করে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে কাজের সন্ধানে সিলেটে অবস্থান করছেন। তারা হকারি, রিকশাচালনা, নির্মাণ খাতে শ্রমদানে জড়িত রয়েছেন। সেই খাতগুলো এখন সিলেটে জমজমাট। সারাদিন কর্মক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরছে তারা। শ্রমনির্ভর এ পেশাতেই জীবন-জীবিকাসহ স্বপ্নসাধ তাদের। এর বাইরের জগত নিয়ে নির্লিপ্ত তারা।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও এলাকার ক্যাম্প টিলায় এক প্রবাসীর বিনিয়োগে একটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রায় আড়াই শ’ শ্রমিক কাজ করছেন দিনরাত। প্রতিদিন ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ হাজার টাকায় খাটছেন তারা। লেবার নেতা জাফর জানালেন, কর্মকান্ডে জড়িত শ্রমিকরা বেশিরভাগ অন্য জেলার। প্রতিদিনই শ্রম দিচ্ছেন তারা। দিন শেষে যে মজুরি হাতে পান তা নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন এসব খেটে খাওয়া মানুষ। মনে হয় এটাই তাদের প্রাপ্তি। পরিবার পরিজন নিয়ে সীমিত এ আয়ের নিশ্চয়তা নিয়েই তারা পরম সুখে আছেন।
নগরীর রিকশাচালক মতিউর রংপুর জেলার বাসিন্দা। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ৪ সদস্যের পরিবার নিয়ে সিলেটে বসবাস করছেন। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে পড়ছে। তিনি বললেন, রিকশার প্যাডেল চলবে, তার কোন ভাবনা নেই সংসার চালাতে। একই রকম মনোভাব ফুটপাতের কাপড় ব্যবসায়ী সাগরের। ময়মনসিংহের বাসিন্দা সাগর বললেন, ভালো ব্যবসা হচ্ছে ফুটপাথে। পরিবার-পরিজনের ব্যয়ভার চালাতে তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে না। পরিবেশ পরিস্থিতি এরকম থাকলে আয় রোজগারের পাশাপাশি সঞ্চয় করার টার্গেট নিয়ে অন্যকোন খাতে লগ্নি করার চিন্তা তার।
কাল পড়ুন : চট্টগ্রামে স্বস্তিতে শ্রমজীবীরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।