Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ছয় মাসে তিন কোটি ভ্যাকসিন আমদানি-স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভ্যাকসিন ক্রয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:২০ পিএম

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পেতে বেক্সিমকো ফার্মার মাধ্যমে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সাথে ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছ থেকে আগামী ছয় মাসে (প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে) মোট তিন কোটি ভ্যাকসিন আমদানি করা হবে।

চুক্তিতে সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম ও বেক্সিমকো ফার্মার পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষরিত চুক্তিটি রোববার ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেরাম ইন্সটিটিউট কর্তৃপক্ষ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই পুনরায় দেশে পাঠাবে।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসের কোন এক সময় আমরা এই ভ্যাকসিন পাবো। তিন কোটি ডোজ দেড় কোটি মানুষকে দেয়া হবে। যদি ভ্যাকসিনটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, মার্কিন এফডিএ বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন করে। তবে কোন একটি কর্তৃপক্ষ অনুমোদন না করলে ভ্যাকসিন পেতে আরও দেরি হতে পারে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ভ্যাকসিন ক্রয়, সংরক্ষণ এবং বিতরনের সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। স্থানীয় পর্যায়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন হতে হতে ভ্যাকসিন চলে আসবে। জাহিদ মালেক বলেন, এখন শীত মৌসুম চলছে। এতে দেশে করোনায় শনাক্ত ও আক্রান্তর সংখ্যার পাশপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। তাই সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে সরকার ইতিমধ্যে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ কার্যক্রম শুরু করেছে। ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।

এ সময় বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ইতোপূর্বে ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটরে সঙ্গে সরকারের একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। এমওইউ’র শর্ত অনুসারে এই ক্রয় চুক্তি ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে করার কথা। তাই আমরা এই চুক্তি করলাম। এটি এখন ভারতে পাঠানো হবে এবং ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তারা স্বাক্ষর করে দেশে পাঠাবে। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন অনুমোদিত হলেই আমরা পবো। তবে আন্তর্জাকিত কোন সংস্থা থেকে অনুমোদন না হলে এটি পেতে দেরি হবে। আন্তর্জাতিক কর্র্তৃপক্ষের অনুমদোনের পর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে অনুমোদিত হবে। অন্যথায় এটি দেশে ব্যবহার করা যাবে না।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের মাধ্যমে যে ভ্যাকসিন সরকার কিনছে সেটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও এস্ট্রোজেনেকা উদ্ভাবিত ও প্রস্তুতকৃত। এই ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের ট্রায়ালে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ বলে প্রতিয়মান। এই ভ্যাকসিন আমাদের দেশের আবহাওয়া উপযোগী। জাহিদ মালেক বলেন, প্রথম পর্যায়ে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমদানি করা হচ্ছে। যা আগামী ছয় মাসে (প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে) আমদানি করা হবে। অক্সফোর্ড-এস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিনের পাশাপাশি আরো কিছু কোম্পানির সাথেও সরকারের আলোচনা চলমান রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা ও ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের সাথে সরকারের একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা সারক স্বাক্ষর হয়। সেই সমঝোতার প্রেক্ষিতেই এই ক্রয় চুক্তিটি সম্পন্ন হলো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ