পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর প্রতিষ্ঠাতা আমীর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ ফজলুল করীম পীর সাহেব চরমোনাই (রহ.)কে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হানিফ-এর বক্তব্য কাল্পনিক, বাস্তবতা বিবর্জিত এবং অসত্য বলে মন্তব্য করেছেন।
এমন একজন মহান বুজুর্গ-এর বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আবুল কাশেম এক বিবৃতিতে বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে আয়োজিত বিশাল গণসমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই (রহ.) তাঁর জীবদ্দশায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমাকে রাজাকার হিসেবে প্রমাণ করতে পারলে আমি ফাঁসির কাষ্ঠে ঝলুতে রাজি আছি।’ তাঁর জীবদ্দশায় তাঁর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ না করে মৃত্যুর ১৪ বছর পর এসে হানিফ সাহেবরা মৃত মানুষের বিরুদ্ধে অযাচিত বক্তব্য বিবৃতি দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। হানিফ সাহেবকে তার বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করতে হবে। বরিশাল জেলা ও চরমোনাই অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধারা এমনকি হিন্দু মুক্তিযোদ্ধারাও এধরণের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়ে পীর সাহেব (রহ.) চরমোনাই দরবারকে মুক্তিযুদ্ধের ঘাঁটি প্রমাণ করেছেন এবং উল্টো চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, চরমোনাই মাদরাসা ও পীর সাহেব চরমোনাই (রহ.) ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী। পীর সাহেব চরমোনাই (রহ.) ছিলেন উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় ও অধ্যাত্মিক রাজনৈতিক নেতা। তাকে মিথ্যা তকমা দিয়ে হানিফ সাহেবরাই ইতিহাসে জঘন্য ঘৃণিত ও নিন্দিত হয়ে থাকবেন। মাহবুবুল আলম হানিফকে অবিলম্বে মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের জন্য দেশবাসির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।