পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈশ্বিক মহামারির মোকাবেলা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং প্রাকৃতিক দুযোগে দ্রুত ত্রাণ সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে গত এক দশকে সরকার ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন (২০১৯-২০২০) এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি. বেসরকারি দপ্তর, প্রতিষ্ঠান ও অনুষঙ্গের সাথে সামগ্রিক সমন্বয়ে দিনরাত কাজ করে আসছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সকল দপ্তরের কার্যক্রম সমন্বয়পূর্বক জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা, উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিপদগ্রস্থ মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর বিশাল কর্মযজ্ঞ সার্বক্ষণিক ও নিবিঢ়ভাবে তত্ত্বাবধানে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বৈশ্বিক মহামারির মতো প্রতিকূল পরিবেশ আর বিপর্যস্ত সময়ে দৃঢ় মনোবল এবং সাহসিকতা নিয়ে কীভাবে সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয় সে পেশাদারি মনোভাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অর্জন করে রাষ্ট্র পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর মহান আদর্শকে অনুসরণ এবং মুজিব বর্ষের অঙ্গীকারকে ধারণ করে। স্বাধীনতার পর একটি যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো এবং ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতির অচলায়তন থেকে বঙ্গবন্ধু যেভাবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছিলেন তাই ছিল মহামারি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুপ্রেরণা।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অভিযাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সদা-প্রস্তুত সহযাত্রী হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। বিগত এক দশকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মপরিধি ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে সাচিবিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি সরকার পরিচালনায় নীতি নির্ধারণ, আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন এবং জাতীয় সংসদ বিষয়ক দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রধানমন্ত্রীকে দাপ্তরিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ দপ্তর/ সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও সংগঠনের মধ্যে সংযোগ ও আন্তঃসমন্বয় সৃষ্টির কাজটি প্র্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সম্পাদিত হয়। ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পসহ মেগা প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত প্রতিশ্রুতি ও নির্দেশনাসমূহের বাস্তবায়ন কাজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কাঠামোবদ্ধভাবে পরিবীক্ষণ করে। এছাড়া বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং বিভিন্ন দুর্যোগ ও মহামারি কিংবা বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ তৎপরতা মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক খোলা রেখে দুর্যোগ মোকাবেলায় মাঠ পর্যায়ের সাথে সমন্বয়সহ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে দুর্যোগকালীন সামগ্রিক সমন্বয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে করা হয়। দুর্যোগকালে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতির খোঁজ-খবর নেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন, ফলে দুর্যোগকালে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত প্রধানমন্ত্রীকে এ কার্যালয় থেকে নিয়মিত বিরতিতে অবহিত করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্যান্য রুটিন কাজের মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অনুষ্ঠান সমন্বয়, ভিডিও কনফারেন্সিং, দেশে-বিদেশে সফর, আন্তর্জাতিক, দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বৈঠকসহ প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন কার্যাবলী। প্রধানমন্ত্রীর বাণী ও বক্তৃতাসহ প্রেস এবং জনসংযোগ সংক্রান্ত কার্যাবলী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে সমন্বয় করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর নিকট জনগণের বিভিন্ন প্রকার আবেদন সম্বন্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কাজটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্পাদন করে আসছে।
২০১৯-২০২০ সময়কালটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ শে মার্চ মেয়াদকে বাংলাদেশে ‘মুজিব বর্ষ’ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। আগামী বছর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, তাদের জীবনমান উন্নয়ন এবং জনগনের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ সামগ্রিক অর্থে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে ‘মুজিব বর্ষ’ সমগ্র জাতির মানসপটে আলোক বর্তিকারূপে উদ্ভাসিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দেশ গঠনের অঙ্গীকারে ‘মুজিব বর্ষ’ বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অনুপ্রেরণার আলোয় উদ্দীপ্ত করে। ক্রান্তিকাল-জয়ী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামান্যতম বিচলিত না হয়ে দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলার সময়োচিত ও দূরপ্রসারি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। প্রথমেই তিনি মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করে সকলের মনোযোগ মহামারি মোকাবেলায় নিবদ্ধ করেন। সর্বাগ্রে জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরসমূহকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।