Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বেগম রোকেয়া আমাদের পথ দেখিয়েছেন

ভিডিও কনফারেন্সে শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনসংখ্যার অর্ধেকই যেখানে নারী, সেখানে তাদের পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ না দিলে সমাজও এগোতে পারবে না। আজকে আমাদের মেয়েরা অনেক এগিয়ে গেছে। আমরা চাই, আমাদের দেশের মেয়েরা সমানভাবে এগিয়ে যাক। কারণ বেগম রোকেয়াই আমাদের পথ দেখিয়ে গেছেন।

গতকাল বেগম রোকেয়া দিবসে তিনি বলেন, একটা সমাজে যেখানে অর্ধেক নারী, একটা সমাজকে যদি উন্নত করতে হয়, তারা সমানভাবে যদি নিজেদের তৈরি করতে না পারে, তা হলে সেই সমাজ কীভাবে গড়ে উঠবে? গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রোকেয়া পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, সমাজের অর্ধাংশকে আমরা যদি এগোতেই না দিই, তা হলে কী করে একটা সমাজ দাঁড়াতে পারে। সমাজকে তো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে হবে।

এ অনুষ্ঠানে নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকার জন্য পাঁচজনকে চলতি বছরের বেগম রোকেয়া পদক দেয়া হয়। নারী শিক্ষায় অবদানের জন্য অধ্যাপক শিরীন আখতার এবং পেশাগত উন্নয়নের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ভূমিকার জন্য কর্নেল ডা. নাজমা বেগম এবার রোকেয়া পদক পেয়েছেন। নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য মঞ্জুলিকা চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগম মুশতারী শফি এবং নারীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামের জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার এ সম্মাননা পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পদকজয়ীদের হাতে সম্মাননা, সনদ ও চেক তুলে দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুননেসা ইন্দিরা। করোনা মহামারীর মধ্যে সশরীরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারায় নিজের দুঃখের কথা অনুষ্ঠানে প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সমাজে নারীর ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে নিজের মা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের কথাও স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা

তিনি বলেন, আমার মা, যিনি সারাজীবন আমার বাবার পাশে থেকে এই স্বাধীনতা সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেনৃ যখন আমার বাবা জেলে থাকতেন, তখন দল গঠন থেকে শুরু করে আন্দোলন সংগ্রাম করা বা তার মামলা মোকদ্দমা দেখা বা আমাদের মানুষ করা, লেখাপড়া শেখানো- সব দায়িত্ব কিন্তু আমার মা নিজে করেছেন।

তিনি জানান, কাজেই সেখানেও আমি দেখি সমাজে কত বড় দায়িত্ব তিনি পালন করে গেছেন। অথচ কোনো প্রাতিষ্ঠনিক শিক্ষার সুযোগ তার ছিল না। কারণ সেই যুগে মেয়েরা একটু বড় হলে আর তাদেরকে স্কুলে যেতে দেয়া হত না, পড়তে দেয়া হত না। আমি দেখেছি, আমার মা খুব জ্ঞানপিপাসু ছিলেন এবং নিজের চেষ্টায় তিনি অনেক লেখাপড়া করতেন, আমাদেরকে সব সময় লেখাপড়া করতে উৎসাহিত করতেন।

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রতি বছর রোকেয়া পদক দেয় বাংলাদেশ সরকার। ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বেগম রোকেয়া। ১৯৩২ সালের একই তারিখে কলকাতার সোদপুরে তার মৃত্যু হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ