পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
২০৪০ সালের মধ্যে মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবছরের বাজেটেও বাড়ানো হয়েছে সিগারেটসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্যের দাম। এবারের বাজেটের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার সর্বনি¤œ স্তরের ১০ শলাকার ১ প্যাকেট সিগারেটের মূল্য নির্ধারণ করেছে ৩৯ টাকা। মধ্যম স্তর ৬৩ টাকা, উচ্চস্থর ৯৭ টা ও অতি-উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার ১ প্যাকেট সিগারেটর দাম ১২৮ টাকা।
সরকারের বেঁধে দেয়া সর্বোনি¤œ স্থরের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ৩৯ টাকা হলেও সিলেটের বিভিন্ন বাজারে ২৭-৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ভারগো টোব্যাকোর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট। এর ফলে একদিকে যেমন বিশাল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে ব্যবসা করা সিগারেট প্রতিষ্ঠানগুলোর।
ভারগো টোব্যাকো সরকারের নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করেই তাদের নিজস্ব ব্রান্ড পাটর্নার, দেশি গোল্ড, দেশি ব্লাক, দেশি গ্রিন ব্রান্ডের সিগারেটগুলো কমদামে বাজারজাত করে যাচ্ছে। যা পুরোটাই আইনের লঙ্ঘন।
সম্প্রতি সিলেট কাস্টমস্ বিভাগ ভারগো টোব্যাকোর সিগারেট বাজারজাতকরণ ও কুরিয়ারের মাধ্যমে পরিবহনের অপরারে ২জনকে আসামি করে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করে। এই মামলায় পুলিম একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে। কিন্তু তারপরও ভারগো টোব্যাকো কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করেই নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, সিলেটের স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও প্রসাশনকে হাত করে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ভরগো টোব্যাকো। নিজেদের পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করার জন্য ব্যবহার করছে কুরিয়ার সার্ভিসের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
সিলেটের কাস্টমস এক্সসেস এন্ড ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ হাসানুল হক জানিয়েছে, অবৈধ সিগারেট বিক্রয় বন্ধে আমরা কয়েকটি কমিটি গঠন করেছি। যারা অবৈধ সিগারেট বিক্রি বন্ধে সিলেটের বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছে। অবৈধ সিগারেট বিক্রির করলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ দেওয়া রয়েছে।
একটি ১০ শলাকার প্যাকেটে সরকার নির্ধারিত ভ্যাট ও সারচার্জ ৭১ শতাংশ। এরফলে ১ প্যাকেট ১০ শলাকার সিগারেট বিক্রি করলে সরকার পায় ২৭ টাকা ৩৯ পয়সা। কিন্তু ভারগো টোব্যাকো তাদের নিজস্ব ব্রান্ডের সিগারেট বিক্রয় করছে ২৭ থেকে ৩০ টাকায়। এতে প্রশ্ন থেকে যায় যদি এই প্রতিষ্ঠান সরকারের নির্ধারিত কর পরিশোধ করে সিগারেট বিক্রয় করে তাহলে এতো কম মূল্যে সিগারেট বিক্রয় কখনোই সম্ভব নয়। তাহলে কি ভারগো টোব্যাকো বিনা লাভে এই ব্যবসা পরিচালনা করছে? নাকি বিপুল টাকার ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে বাজারে অবৈধ সিগারেটের যোগানদাতা হিসেবে কাজ করছে। বছরের পর বছর এইরকম অনৈতিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করায় একদিকে যেমন বাড়ছে অবৈধ সিগারেটের বাজার অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।