Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নতুন চাপ প্রয়োগের সুযোগ বাংলাদেশের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:৪৫ পিএম

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে নতুন চাপ প্রয়োগ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের জন্য। হত্যা, গণধর্ষণ এবং আগ্নেয় হামলা থেকে বাঁচতে যদি ১০ লাখের বেশি মানুষ অন্য দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়, তবে সেটি কোনও দেশের অভ্যন্তরীন বিষয় থাকে না। বাংলাদেশ যে মূহুর্তে পলায়নপর রোহিঙ্গাদের জন্য দরজা খুলে দিলো, তখন থেকেই এটা তাদের সমস্যা, এটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। বাংলাদেশ আক্ষরিক অর্থেই ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার আহারসংস্থান করছে। -আনাদলু এজেন্সি

প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারে নতুন সরকার নির্বাচিত হয়েছে। এই সরকার নিজেদের প্রচুর পরিমাণে গণতান্ত্রিক ও সেনা প্রভাবমুক্ত দেখানোর চেষ্টায় তৎপর। এটিকেই সুযোগ হিসেবে দেখছে ঢাকা। জানা গেছে, নতুন সরকারকে অভিনন্দন না জানিয়ে সরাসরি প্রত্যাবাসনের সময়সীমা দেবার চিঠি দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ চায়, সরকার সামরিক বাহিনীর প্রভাবমুক্ত, রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ রাখাইন তৈরি করে সে কথা প্রমাণ করুক নেপিইদো। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, প্রয়োজনে বাংলাদেশিরা একবেলা খেয়ে রোহিঙ্গাদের খাবার জোটাবে। সে বাংলাদেশই বলতে বাধ্য হচ্ছে, রোহিঙ্গারা তাদের জন্য বোঝা এবং প্রত্যাবাসন জরুরি। কক্সবাজার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকা। অর্থনীতি এবং জীববৈচিত্রের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির অবশ্যই সমস্যা তৈরি করছে। বাংলাদেশ এ কারণেই প্রত্যাবাসন চাইতে পারে।

রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা, বার্মিজ রোহিঙ্গা অরগানাইজেশন ইউকে (বিরোউক) এর একটি সমীক্ষা বলছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারে এখনও সীমিত পরিসরে গণহত্যা চলছে। ঐতিহাসিক নথিগুলো বলছে, রোহিঙ্গারা নিশ্চিতভাবেই আরাকানের অধিবাসী। যে সুলতানি আমলের উদাহরণ দিয়ে রোহিঙ্গাদের অস্বীকার করতে চায় নেপিইদো, সে সময় আরাকান ছিলো বাংলাদেশের অংশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ