Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বাংলাদেশে ভাস্কর্য নতুন কোনো বিষয় নয়

সংবাদ সম্মেলনে-ইউনাইটেড ইসলামি পার্টি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:৫৩ পিএম

সভ্যতার শুরু থেকে মানুষের শিল্প চর্চার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে গণ্য হয়েছে ভাস্কর্য। প্রাচীন কাল থেকে বাংলদেশেও ভাস্কর্য শিল্পের চর্চা চলছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশসহ মুসলিম অধ্যুষিত সব দেশে রয়েছে ভাস্কর্য । সেসব দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি রাষ্ট্রপ্রধান, জাতীয় নেতা, কবি, শিল্পিসহ বিভিন্ন চরিত্র স্থান পেয়েছে তাদের ভাস্কর্যে। যদিও ভাস্কর্য বা মূর্তি ইসলামে বৈধ নয়, তারপরেও বাংলাদেশে ভাস্কর্য নির্মাণ নতুন কোনো বিষয় নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পূর্বপুরুষরা ইরাক থেকে ইসলাম প্রচারের জন্য এ দেশে এসেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ইসলামের জন্য অনেক কাজ করে গেছেন। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাস্কর্য ও বর্তমান দেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসাইন এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ইসলামের জন্য, আলেম সমাজের জন্য যা কিছু করেছেন, অন্য কোন সরকার তা করেনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে। কওমি মাদরাসার শিক্ষার স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী । এই উপমহাদেশে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বহু বছর ধরে দাবি ছিল। কেউ এই দাবি পূরন করেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যাই ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। আলেমদের অবশ্যই দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করতে হবে। অন্য কোন মহলকে সুযোগ দেয়া যাবেনা। বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশে ভাস্কর্য বিষয়টি নিয়ে একটি উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রাচীন ঈশাখাঁর আমলের সোনারগায়ে ভাস্কর্য রয়েছে, সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ভাস্কর্য রয়েছে, জিয়াউর রহমান, মাওলানা আব্দুল হামিদ খাঁন ভাসানীর, ভাস্কর্য আছে। পৃথিবীর ইতিহাসে সউদী আরব, দুবাই, ওমান, কাতার, মিশর, পাকিস্থান, এবং তুর্কিতেও, ভাস্কর্য রয়েছে। শেখ হাসিনা একজন ইসলাম প্রিয় নেত্রী এবং এদেশের আলেম সমাজের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল ও বিনয়ী। একটি কুচক্রী মহল বিষয়টি নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পাঁয়তারা করছে। সরকার ও জনগণের মধ্যে একটি দূরত্ব সৃষ্টি করছে। সরকারের যে কোন সিদ্ধান্তে আলেম সমাজের দ্বি-মত থাকলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধান মন্ত্রী বলেছেন, আমি মদীনার সনদ অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করব ও কোরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন বাস্তবায়ন হবে না। একটি মহলের আলেমরা আমাদের দেশের হক্কানী আলেমদেরকে উস্কানিদেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু ভাস্কর্য নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কোনোভাবেই চক্রান্ত করা চলবে না । উক্ত সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা হযরত মাওলানা মুফতি শাহাদাত হোসাইন, পীরে কামেল আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আজিজুর রহমান বুলবুলী (পীর সাহেব যশোর), কাজী মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, মোঃ বশির আহম্মেদ, আলহাজ্ব মোঃ শাহীন খান, মাওলানা তাহেরুল ইসলাম, ক্বারী মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা মোঃ মনিরুজ্জামান হাফেজ মাওলানা আব্দুল আজিজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ