Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মাস্ক না পরলে কোনো কিছুই সফল হবে না : প্রধানমন্ত্রী

শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হচ্ছে টাস্কফোর্স কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৩ এএম

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মন্ত্রিসভাও বলছে মাস্ক না পরলে কোনো কিছুই সফল হবে না। জরিমানার পরও মানুষের মাস্ক পরা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রচার কার্যক্রমের নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা নির্দেশনা দিয়ে সবাইকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে বলেছেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাস্ক নিয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। মাঠ প্রশাসন থেকে আমাদের কাছে সাজেশন এসেছে। তারা বলছেন, জরিমানা করার পরে, জেল দেওয়ার পরে মানুষের মধ্যে ওইভাবে সচেতনতা আসছে না। সেক্ষত্রে কাউকে ফাইন করলে সে বলে, ওই যে চার-পাঁচজন মাস্ক ছাড়া যাচ্ছে ওদের ফাইন করেন। সেজন্য তারা পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে প্রচার করতে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলে দিয়েছে বিসিসিআইসহ যারা আছে তাদের সবাইকে এনশিউর করতে তাদের আওতাধীন সবাইকে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে তাদের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে করতে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ওনার অঙ্গ-সংগঠনে যারা আছে তাদের সবাইকে পরিস্কার নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন যে প্রোগ্রামেই যারা আসবেন, যত যাই করুক অবশ্যই তাদের মাস্ক পরতে হবে। তারা ম্যাসিভ ক্যাম্পেইন চালাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, যে ভাবসাব দেখা যাচ্ছে, যেভাবে বাড়ছে তাতে এটা আল্লাহ না করুক শীত যদি একটু বেশি পড়ে তাহলে আরও নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে। শুধু জেল-জরিমানা করলেই হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মাস্কটা যেন কাপড়ের দেওয়া হয়, তাহলে ধুয়ে ব্যবহার করতে পারবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাঠ প্রশাসন থেকে আমাদের কাছে সুপারিশ এসেছে। তারা বলছেন, জরিমানা করার পরে, জেল দেয়ার পরে মানুষের মধ্যে ওইভাবে সচেতনতা আসছে না। সেক্ষেত্রে কাউকে ফাইন করলে সে বলে- ওই যে চার-পাঁচজন মাস্ক ছাড়া যাচ্ছে ওদের ফাইন করেন। সেজন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে- স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে প্রচার করতে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলে দিয়েছে বিসিসিআইসহ যারা আছে তাদের সবাইকে এনসিউর করতে তাদের আওতাধীন সবাইকে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে তাদের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে প্রচারণা করতে।

খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, যে ভাবসাব দেখা যাচ্ছে, যেভাবে বাড়ছে তাতে এটা আল্লাহ না করুক শীত যদি একটু বেশি পড়ে তাহলে আরও নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে।শুধু জেল-জরিমানা করলেই হবে না। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় প্রধানমন্ত্রী কাপড়ের মাস্ক দিতে বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তাহলে ধুয়ে ব্যবহার করতে পারবে। জেলা প্রশাসনসহ মাঠ প্রশাসনের সবাইকে বলে দিয়েছি এখন থেকে তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক দিতে।

শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হচ্ছে টাস্কফোর্স কমিটি
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়াল ইসলাম বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে একটি টাস্কফোর্স ও স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছি। বৈঠকে আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিভাগ থেকে এ বিষয়ে অনেক বড় উপস্থাপনা দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে কীভাবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে হ্যান্ডেল করব। যদি এটাকে ঠিকভাবে হ্যান্ডেল করতে না পারি তাহলে আমাদের জন্য একটু অসুবিধা হবে। কারণ, সব টেকনোলজি ও উৎপাদন পদ্ধতি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোথাও কোথাও ম্যানপাওয়ার কমে যাবে আবার অন্য জায়গায় লাগবে। এ শিফটিংগুলোও করতে হবে। আমাদের ওয়ার্ক ফোর্সকে সেভাবে ডেভেলপ করে নিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস, ক্লাউড টেকনোলজি, অটোনোমাস ভেহিক্যাল, সিনথেটিক বায়োলজি, ভার্চুয়াল অগমেন্টেড রিয়েলিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবট, বø্যাক চেইন, থ্রিডি প্রিন্টিং এবং ইন্টারনেট অব থিংকস বা আইওটি- এই দশটি টেকনোলজি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে লিড করবে। এ ১০টি টেকনোলজিকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের বেশ কয়েকটা গার্মেন্টস এবং ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রিতে রোবট ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। অনেক গার্মেন্টস একটা খাত মেকানাইজ করে দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে ম্যান পাওয়ারকে শিফট করে দিতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিল্প বিপ্লবের ক্ষেত্রে তিনটি সমস্যা দেখা দেবে। প্রথমত মেশিন বা রোবট অনেক মানুষকে রিপ্লেস করে ফেলবে। এজন্য যারা চাকরি হারাবে তাদেরকে পরিকল্পনা করে অন্য জায়গায় চাকরি দিতে হবে। এটা নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ, জার্মানি হলো চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে সব থেকে অ্যাডভান্স। কিন্তু সেখানে বেকারের সংখ্যা পৃথিবীর সব থেকে কম। দ্বিতীয় সমস্যা হবে আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় যে জ্ঞান আছে তা পরিপূর্ণভাবে ইক্যুপ্ট করতে পারবে না। সেজন্য আমাদের আরেকটু অ্যাডভান্স এডুকেশনে যেতে হবে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ জন্য প্রস্তাব এসেছে একটা বড় টাস্কফোর্স গঠন করে এখন থেকেই কীভাবে কো-অপ্ট করব এবং লেবার শিফটিং হলে কীভাবে শিক্ষা দিয়ে দক্ষ করব, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। বিশ্বব্যাপী যে দক্ষ প্রমিকের চাহিদা তৈরি হচ্ছে সেখানে দক্ষ করে তৈরি করে পাঠানো। টাস্কফোর্স চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের টেকনোলজি ও সমস্যার মধ্যে সামঞ্জস্য করে শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন কিছু ঢোকানো এবং ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্টের (এনএসডি) তত্ত্বাবধানে ম্যাসিভ কর্মসূচি গ্রহণ করা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে তিনটি সেক্টর থাকবে- বায়োলজিক্যাল, ডিজিটাল এবং ফিজিক্যাল। এই তিন সেক্টরেই আমাদের কাজ করতে হবে।



 

Show all comments
  • নওরিন ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৪৯ এএম says : 1
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একদম ঠিক কথা বলেছেন
    Total Reply(0) Reply
  • মারিয়া ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৪৯ এএম says : 0
    অবশ্যই সবাইকে মাস্ক পরতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • প্রিয়সী ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৫২ এএম says : 0
    শুধু জেল-জরিমানা করলেই হবে না। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় মাস্ক দিতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • হাবীব ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৫৬ এএম says : 1
    শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হচ্ছে টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • রোমান ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৫৬ এএম says : 1
    এগিয়ে যাবে দেশ সেই প্রত্যাশা করছি
    Total Reply(0) Reply
  • কাওসার ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ২:৫৭ এএম says : 0
    একমাত্র আল্লাহই আমাদেরকে রক্ষা করতে পারেন
    Total Reply(0) Reply
  • Anwar Hossain ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ১১:৪৮ এএম says : 0
    মূর্তি বা ভাস্কর্য নিয়ে বিরাজমান পরিস্থিতিকে আমরা দেশ বিরোধী অপশক্তির চক্রান্ত আকারে দেখছি। আমরা মনে করছি, ওরা বাংলাদেশের মানুষের ঐক্য বিনষ্ট করে ভিনদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। সামাজিক ও ধর্মীয় অস্থিতিশীলতা তৈরী করতে চায়। এ বিষয়টিতে সরকারের অবস্থান নিয়েও আমরা হতাশ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ