পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা কাজে লাগিয়ে সিএমএসএমই (কটেজ, মাইক্রো, স্মল এ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ) এবং স্টার্টাপের মতো ব্যবসায়িক উদ্যোগের ভিত্তি সুদৃঢ়করণের উদ্দেশ্য নিয়ে ‘এফবিসিসিআই টেক সি’ নামের একটি প্রযুক্তি কেন্দ্র চালু করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। টেক সির মূল লক্ষ্য স্টার্টাপের পরিচর্যা এবং ‘ইমপ্যাক্ট টেক প্রেন্যুয়ার’ তৈরি, যারা ডিজিটাল ইকোসিস্টেসম তৈরি, সাধারণ মানুষের সামাজিক সমস্যার সমাধান, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। রোববার (৬ ডিসেম্বর) মতিঝিলে এফবিসিসিআই আইকন টাওয়ারে এর উদ্বোধন করা হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপনকে সামনে রেখে এটি চালু করা হচ্ছে, যা এফবিসিসিআই ইমপ্যাক্ট ৪.০ (২০২০) এর অংশ।
‘এফবিসিসিআই টেক সি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম। এফবিসিসিআই’র উপ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফেরদৌস (অব.) এনডিসি, পিএসসি সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ‘টেক সি’ নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন এফবিসিসিআইয়ের উপদেষ্টা সোনিয়া বশির কবির। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টোর অন্টারিও ইনস্টিটিউট ফর স্টাডিজ ইন এডুকেশনের (ওআইএসই) এলিজাবেথ রিজ জনস্টোন, ওআইএসই'র কন্টিনিউইং এ্যান্ড প্রফেশনাল লার্নিংয়ের এ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর (ইন্টারন্যাশনালাইজেশন এ্যান্ড ইনোভেশন) মাইকেল ক্যাসিডি; এ্যাক্সিলারেটিং এশিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা আমরা নাইডু এবং ম্যাসাচুয়েট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলোজির (এমআইটি) সিনিয়র অফিসার শ্যারন বর্ট। সমাপনী বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) প্রফেসর ড. সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের ভবিষ্যত উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, প্রবৃদ্ধি ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সক্ষমতা নির্ভর করছে প্রযুক্তি খাতের বিকাশ এবং উদ্ভাবনশীলতার ওপর। ডাটা নির্ভর উদ্ভাবন দেশজুড়ে ব্যবসায়ীর উদ্যোগের সফলতার ভিত্তি। বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি রাজত্ব করলেও গতানুগতিক সংস্কৃতি এবং অর্থনৈতিক খাতে এর ব্যবহার গ্রহণযোগ্যতা এবং ব্যবহার এখনও বেশ ধীর। তবে কোভিড-১৯ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে ডিজিটালাইজেশনের বড় ধরনের জোয়ার এসেছে। এর ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থসংক্রান্ত খাতগুলো প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে ডিজিটালাইজেশনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয় এবং প্রযুক্তি আত্মীকরণে ইতোমধ্যে বড় ধরনের সাফল্য দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলদেশ গড়ে তোলার সুবাদে এটি সম্ভব হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।