পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। ভাস্কর্য ভাঙার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এদিকে ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে আজ রোববার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে একাধিক সংগঠন।
ফেসবুকে মাঝহার মাহাবুব লিখেছেন, ‘১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুকে ভয় পেয়ে কারাগারে বন্দি করেছিল।১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। কারণ তাকে তারা ভয় পায়। ২০২০ সালে এসে তারা ভাস্কর্যকেও ভেঙে দিল। কারণ, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকেও তারা ভয় পায়! কিন্তু, আমার প্রশ্ন...কোটি কোটি বাঙালির মনে যে চেহারা আঁকা! তাকে তারা মুছবে কীভাবে?’’
মোঃ মনির লিখেছেন, ‘‘জাতির জনকের ভাস্কর্য ভাঙার সাহস পেলো কোথায়? এবং জাতি জানতে চায় কে বা কারা এ-ই জঘন্যতম কাজ করছে? তবে ভাঙার আকৃতির ধারণ,
তাদের নিজেদের, মধ্যে উসকানিমূলক রাজনীতি নয় তো? জাতির জনকের প্রতি এরকম অবমাননা সমস্ত জাতিকে কলঙ্কিত করা। এর কঠোর শাস্তির দাবি করছি যেই হোক না কেনো?’’
কাওছার আহমাদ রাজিব রাজ লিখেছেন, ‘‘ভালোবাসায় গড়া যে ভাস্কর্য মানুষের মনের মাঝে থাকে তা কেউ ভাঙতে পারে না। তার স্থায়ীত্ব আজীবন ...শত শত বছরের! জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’’
নিজাম উদ্দিন লিখেছেন, ‘‘৭১ এর পরাজিত শক্তিরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য তারা আজ মুছে ফেলার চেষ্টা করছে ৭১ এর ইতিহাসকে। কিন্তু পরাজিত শক্তিরা আর জেগে উঠার ক্ষমতা পাবে না কারণ এটা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আর সেই মুক্তিকামী সৈনিকরা দেশ ও জনগনের অতন্দ্র প্রহরী। জয় বাংলা, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।’’
কুষ্টিয়ার শাপলা চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ওই ভাস্কর্য ভাঙচুরের অভিযোগে দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে শহরের একটি মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।