পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পেশাদারিত্বের ঈপ্সিত মান অর্জনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যে কোন হুমকি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রদান করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। গতকাল দুপুরে নবগঠিত কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে ৪টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান এ কথা বলেন।
সেনাবাহিনী প্রধান তার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যের শুরুতেই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। একই সাথে তিনি স্মরণ করেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। তিনি কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রাপ্ত পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যে কোন প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটসমূহকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা প্রদান করেন।
পতাকা উত্তোলন প্যারেডে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলাসহ দেশের আর্থসামাজিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এছাড়াও তিনি উপস্থিত সেনাসদস্যদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পারিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রেখে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুশৃঙ্খল, দক্ষ ও যোগ্য সেনাসদস্য হিসেবে গড়ে উঠার নির্দেশ প্রদান করেন। সেই সাথে পেশাদারিত্বের ঈপ্সিত মান অর্জনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যে কোন হুমকি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন। পরিশেষে সেনাবাহিনী প্রধান পতাকা উত্তোলন উপলক্ষ্যে একটি সুশৃঙ্খল, মনোজ্ঞ ও বর্ণিল কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানস্থলে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার, কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী তাকে অভ্যর্থনা জানান। অতঃপর প্যারেড কমান্ডার মেজর রিফাত উদ্দিন ভূঁইয়া এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি সম্মিলিত চৌকষ দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে জেনারেল সালাম প্রদান করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ষ্টেশন সদর দপ্তর রামু, ষ্ট্যাটিক সিগন্যাল কোম্পানী রামু, সিএমএইচ রামু এবং ১০ ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর পতাকা উত্তোলন করেন সেনাবাহিনী প্রধান ও উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা।
ওই অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনাকর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। ১০ পদাতিক ডিভিশন ও কক্সবাজার অঞ্চলের ৪টি ইউনিট এর নবযাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়ন রূপকল্প ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর বাস্তবায়নের পথে আরেকটি মাইলফলক সংযোজিত হলো। এই ডিভিশন সকল প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে সফলভাবে নিয়োজিত রয়েছে।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নবগঠিত রামু সেনানিবাসে ৪টি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত¡াবধানে ‘মুজিব বর্ষ সাইক্লিং এক্সপেডিশন-২০২০’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি সাইক্লিং এক্সপেডিশন-২০২০’ এ অংশগ্রহণকারী সাইক্লিষ্টদের মাঝে সনদপত্র ও মেডেল প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ নভেম্বর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দা জিরো পয়েন্ট থেকে এই সাইক্লিং এক্সপেডিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল। গত ৩ ডিসেম্বর টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে এ প্রতিযোগিতার ফ্লেগ-ইন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মুজিব বর্ষকে ইতিহাসের পাতায় অমলীন করে রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০০ জন সেনাসদস্য অদম্য শক্তি ও সাহসিকতার সাথে তেতুলিয়ার বাংলাবান্ধা থেকে টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ পর্যন্ত মোট ১০১০ কি. মি. পথ পাড়ি দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।