Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে এক শ্রেণির আলেম

সংবাদ সম্মেলনে-আলহাজ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৫৫ পিএম

ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে জামাত-বিএনপির এজেন্ড বাস্তবায়ন করছে এক শ্রেণির আলেম। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বিভ্রান্ত করছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে এই ফিৎনাবাজরা প্রতিবাদের নামে দেশব্যাপী তান্ডব সৃষ্টির নীল নকশা প্রণয়ন করেছিল। তাদের নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনার বিরুদ্ধে দেশবাসী রুখে দাঁড়িয়েছে। এই উগ্রবাদী জঙ্গীরা মহামারি করোনা থেকেও ভয়াবহ। হকপন্থি ওলামা-মাশায়েখরা এই ভন্ড, গোড়া ও গুন্ডাদের ফাঁদে পা দিবেন না। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার মুগদায় বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারম্যান আলহাজ মিছবাহুর রহমান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পাকিস্তানে ১৯৪৮ সালে জিন্নার ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ওলামারা কখনও কোন প্রতিবাদ করেননি। চারদলীয় জোট গঠনের সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার সরকারি বাসভবনে বিএনপির ধানমন্ডি কার্যালয়ে মরহুম জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য ছিল। তখনতো জামাত - খেলাফতের নেতারা কেউ কোন প্রতিবাদ করেনি।
তিনি বলেন, ভাস্কর্য নির্মাণ যদি কুরআন সুন্নাহ বিরোধী হয় তা’ হলে সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেবো তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে স্পষ্টভাবে বলা আছে তারা কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন পাশ করবে না অথবা কোন কর্মকান্ড সমর্থন করবে না। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব শায়খুল হাদীস মুফতি মনিরুজ্জামান রব্বানী, মুফতি তাজুল ইসলাম, মুফতি বোরহান উদ্দিন আল আজিজি, মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকী, মাওলানা সুলতান মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খুরশিদ আলম, মাওলানা আবু হানিফ ও মো. জামান উদ্দিন। এতে কতিপয় দাবি উত্থাপন করা হয়, দাবিগুলো হচ্ছে, বিভিন্ন ইউটিউব, ফেইজবুকে মিথ্যাচার করে ফেৎনা সৃষ্টিকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে, কওমি মাদরাসা নিয়ে ঢালাও অপপ্রচার বন্ধ এবং মূল ঐতিহ্য বজায় রেখে যুগোপযোগী শিক্ষা চালু করতে হবে, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।



 

Show all comments
  • Kazi.Md.Alauzzaman. ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:১৯ পিএম says : 0
    হযরত ইব্রাহীম নবী ( আ:ছ:) মহান আল্লাহ্ পাকের নির্দেশে কা'বা শরীফের সমস্ত মূর্ত্তী ভেঙ্গে ফেলেছিলেন । এর থেকে প্রমাণীত সত্য যে , ইসলামে মূর্ত্তী , ভাষ্কর্য্য নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । বিশেষত: জানধার মানুষ কিংবা প্রাণীর মূর্ত্তী বা ভাষ্কর্য্য নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ । ইসলামের বিধি বিধান পরিবর্তন করার অধিকার মানবজাতী বা জ্বীন জাতীর নেই । দেখার বিষয় আল্-কোর'আন এবং নবী করীম (ছ: আ:) এর ছুন্নাহ্ এই ব্যাপারে কি বলে । হাক্কানী ওলামায়ে কেরাম , মোহাদ্দীসীন ও মোফাস্সিরীন রা শতভাগ নিশ্চিত যাহা রায় দিবেন , তাহাই কার্যকর হউক । এখানে অস্হিতিশিলতা, নাষকতা ও বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নেই । আল্লাহর বিধান ও নবী করীম ( ছ:আ:) এর শিক্ষা, আদর্শ ও হুকুম সবার উপরে । দুনিয়াবী কোন আইন আল্লাহ্ পাকের অলঙ্গনীয় বিধান তথা হুজুরে পাক ( ছ:আ:) এর শিক্ষা, আদর্শ, কর্ম ও হুকুমকে খণ্ডন করতে পারে না । আশাকরি সরকার আল্-কোর'আন ,সুন্নাহ্ বিরোধী কোন প্রদক্ষেপ নিতে যাবেন না । আমরা প্রবাসীরা বাংলাদেশে স্হিতিশীলতা, শান্তি ও সাফল্য দেখতে চাই ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ