পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডাকাতি শেষে লুণ্ঠিত মালামাল নিয়ে পালানোর সময় সোহেল মিয়া ও অজ্ঞাত একজনসহ দুই ডাকাত গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে মানিক মিয়া নামে এক ডাকাত। তাকে আহত অবস্থায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। শিবপুরের পাহাড়ি এলাকায় অব্যাহত ডাকাতির মুখে গত মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে শিবপুর উপজেলার যোশর ইউনিয়নের মুরগীবেড় গ্রামে এই গণপিটুনির ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত ডাকাত সোহেল মিয়া কুলিয়ারচর উপজেলার কমলপুর এলাকার আমিনুল হকের ছেলে। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আটককৃত মানিক কুলিয়ারচর উপজেলার পশ্চিম আব্দুল্লাহপুর এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
এলাকাবাসীরা জানান, শিবপুরের জয়নগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কিছুদিন ধরে এককভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটতে থাকে। কিন্তু কোন ডাকাতই ধরা পড়ছিল না। অব্যাহত ডাকাতির ঘটনায় এলাকার জনগণের মধ্যে ব্যাপক ডাকাত আতঙ্ক দেখা দেয়। এই অবস্থায় এলাকার জনগণ রাত জেগে পাহারা দিতে থাকে। গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ১০/১৫ জনের একদল ডাকাত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শিবপুরের জয়নগর গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী হারুন এবং তার দুই ভাই গোলজার ও কাঞ্চনের বাড়িতে হানা দেয়।
ডাকাতরা তিনটি বাড়ি থেকে কয়েক লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। ডাকাতি শেষে পার্শ্ববর্তী যোশর ইউনিয়নের মুরগীবেড় গ্রাম হয়ে পালানোর সময় গ্রামের পাহারাদারদের সন্দেহ হয়। এসময় গ্রামবাসী জড়ো হয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করলে তারা পাল্টা গ্রামবাসীর উপর হামলার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী ডাকাতদের পাকড়াও করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু ঘটে। একজনকে আহতাবস্থায় আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। শিবপুর থানা পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত সোহেলের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।