পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সরকারি জমিতে অসহায় কৃষকদের চাষাবাদ করা ফসলের ক্ষেত বিনষ্ট করে সরকারিভাবে গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দূর্গম চর দৌলতদিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানে নদী ভাঙনে গৃহহারা ১৫০টি পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য সরকারিভাবে গৃহ নির্মাণের জন্য তিনদিন আগে মাটি কেটে ভিটে তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়ে ফসলের ক্ষেত নষ্ট করে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তারা তাদের ফসল রক্ষার দাবিতে গত সোমবার ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।
দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নৈমদ্দিন খান পাড়ার শমসের বেপারির ছেলে জয়নাল বেপারি বলেন, এই প্রকল্প এলাকায় আমার বাপ-দাদার ৯ বিঘা জমি রয়েছে। এই জমি চাষাবাদ করেই আমরা বেঁচে আছি। জমিগুলো সরকারিভাবে খাস হয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে আমরা আদালতে মামলা চালাচ্ছি। আমাদের পক্ষে দুইটা ডিক্রিও রয়েছে। কিন্তু গোয়ালন্দের ইউএনও স্যারকে সেটা দেখাতে চাইলেও তিনি ঠিকমতে না দেখে কাগজ ছুড়ে ফেলে দেন।
তিনি আরও বলেন, এই ৯ বিঘা জমিতে বেগুন, টমেটো, পিয়াজসহ অন্যান্য ফসলের চাষাবাদ করেছি। এতে আমাদের প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে ৩ লাখ টাকা বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নেয়া। অল্প কিছুদিন ধরে বেগুন তোলা শুরু করেছি। অন্যান্য ফসলও কিছু দিনের মধ্যে তোলার উপযোগি হবে। এখন এই সকল ক্ষেত ধ্বংস করে মাটি কাটা হলে আমি পথে বসে যাব। পাওনাদারদের চাপে আমাকে আত্মহত্যা করতে হবে।
একইভাবে আইয়ুব আলী (৫৫), চানমিয়া (৪৫), সূর্য শেখ (৫০), হাফজা বেগম (৪০), করিমুন নেছাসহ অনেক কৃষক-কৃষানী অভিযোগ করে বলেন, এখানে আমাদের আরো অনেকের মোট ৪২ বিঘা জমির ফসল নষ্ট করে মাটি কাটার কাজ চলছে। আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি এভাবে নিয়ে নিলে আমরা চরমভাবে অসহায় হয়ে পড়বো। প্রশাসন আমাদের মাঠের ফসল তোলার সময় পর্যন্ত দিচ্ছে না। আমরা আমাদের ফসল ও পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙনের শিকার অসহায় ১৫০টি পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য সম্পূর্ণ সরকারি খাস জমিতে আমরা ভিটে তৈরির কাজ শুরু করেছি। দাবি করলেও সেখানে জমির মালিকানার পক্ষে কেউ বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আমি করো কাগজপত্র ছুড়েও ফেলিনি। একমাত্র আদালতের নিষেধাজ্ঞা ছাড়া সরকারি জমিতে এই সরকারি কাজ বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ভিটে তৈরির কাজ শেষ করতে না পারলে প্রকল্পের বরাদ্দ ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।