পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া টাকা দিয়েই ঋণ দেয়ার ব্যবসা করছে একটি সিন্ডিকেট। এ যেন আরেকটি ব্যাংক। জেসপার গ্রুপের নেতৃত্বে সিন্ডিকেটটি আমদানীর মিথ্যা ঘোষণাপত্র দেখিয়ে অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় নেয়া ঋণের টাকাই আবার চড়া সুদে ঋণ দিচ্ছেন করোনা মহামারীতে মন্দার কারনে অসহায় হয়ে পড়া ব্যবসায়ীদের। শহিদুল্লাহ হোসেন নামে এক ব্যক্তির নেতৃতেই চলছে সিন্ডিকেটের সব কর্মকা-।
এ সিন্ডিকেটের পাল্লায় পড়ে নিঃস্ব হওয়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই জানা গেছে এমন তথ্য। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, ব্যাংক থেকে ৯ শতাংশ সুদে নেয়া টাকাই করোনা মহামারীতে মন্দার কারনে অসহায় হয়ে পড়া ব্যবসায়ীদের কাছে ২৫-৩০ শতাংশ চড়া সুদে ঋণ দিচ্ছে সিন্ডিকেটটি। এছাড়াও ঋণ দেয়ার সময় অগ্রীম চেকও লিখে নিচ্ছে সিন্ডিকেটটি। ১ কোটি টাকা ঋণ দিলে অগ্রীম চেক নেয়া হচ্ছে ৩ কোটি টাকার। ফলে সঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধে ব্যার্থ হয়ে অনেক ব্যবসায়ীই নিঃস্ব হচ্ছেন। এ সিন্ডিকেটের প্রধান সম্পর্কে ভুক্তভোগীরা জানান, বিএনপির শেষ শাসনামলে পাবনার জামায়াত রাজনীতিতে সক্রিয় সুদ ব্যবসায়ী জেসপার গ্রুপের কর্ণধার শহিদুল্লাহ হোসেন বড় অংকের ঋণ নেন ইসলামী ব্যাংক থেকে। তা থেকে গড়ে তোলেন জেসপার ট্রেডিং। প্রথমে ব্যাংক থেকে সহজ সুদে ঋণ নিয়ে তা তিনি পাবনার সহজ সরল মানুষকে চড়া সুদে ঋণ দিতে থাকেন। একসময় পাবনা থেকে তার সুদ বাণিজ্যের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন রাজধানী ঢাকাতেও। সুদ ব্যবসায়ী শহিদুল্লাহ হোসেনের বিরুদ্ধে মসুরীর ডাল ও খেজুরের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণেরও অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আইন মৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনিয়মের দায়ে জরিমানাও গুনতে হয়েছে। এ বিষয়ে শহিদুল্লাহ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।