পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে আমন ধানের সোনালী শীষ। ধান কাটায় ব্যস্ত এখন সারাদেশের কৃষক। কুয়াশাঢাকা ভোর হতে রাত অবধি চলছে ধান কাটাই মাড়াই। নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে আছে চারিদিক। এরই মধ্যে গড়ে ৩০ শতাংশের বেশি জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। সবখানেই ধানের ফলন হয়েছে অন্যবারের চেয়ে বেশি। বন্যায় অনেক জমিয়ে তলিয়ে গেলেও জমিতে পলি পড়ে উর্ব্বরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলন অনেক ভালো হয়েছে। এতে বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। এবার ধানের ভালো ফলনের পাশাপাশি কৃষক দামও ভালো পাচ্ছেন। চিকন ধান বারশ’ টাকার বেশি এবং মোটা ধান হাজার টাকার বেশি মণ ধরে এবার বিক্রি হচ্ছে। ধানের ভালো দাম পেয়ে কৃষক বেশ খুশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, সারাদেশে এবার আমনের ফলন ভালো হয়েছে। দীর্ঘ বন্যার ফলে রংপুরসহ দুয়েকটি জায়গায় ফলন হয়তো একটু কম হবে। বন্যায় প্রায় ৫৪ হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের ক্ষতি হয়েছিল। তবে জমিতে পলি পড়ে ফলন ভালো হওয়ায় আমরা সেই ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পারব। আশা করি অন্যবারের চেয়ে ফলন খুব একটা কম হবে না। হয়তো ধানের উৎপাদন এক-দেড় লাখ টন কম হতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে এবার আমনের আবাদ হয়েছে ৫৫ লাখ ৯১ হাজার ২৪৩ হেক্টর জমিতে। ক্ষয়ক্ষতি বাদে অর্জিত জমির পরিমাণ ৫৫ লাখ ৩৬ হাজার ৮১৩ হেক্টর। এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩৯ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। সমপরিমাণ জমিতে ধানের উৎপাদন হয়েছে ৩৬ লাখ ৬৪ হাজার টন। প্রতি হেক্টর জমিতে ধানের উৎপাদন হয়েছে গড়ে ৩ দশমিক ১২ টন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনের আলোকে সারাদেশে আমনের ভালো ফলনের চিত্র তুলে ধরা হলো।
যশোর ব্যুরো প্রধান মিজানুর রহমান তোতা জানান, ডাকাতিয়া গ্রামের প্রবীণ কৃষক ইজাহার আলী বললেন, এবার ধানের ফলন হয়েছে বাম্পার। দামেও বাম্পার। গত বেশ কয়েকবছর পর এবারই ধানের দামে খুশি কৃষকরা। কৃষক আব্দুল মান্নান বললেন, মোটা ধান ১০৪০ ও চিকন ১২৩০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের কথা, ধানের দামে খুশি কৃষকরা। এই চিত্র গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, এ অঞ্চলের ৬ জেলায় ৪ লাখ ৫১হাজার ৬শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়। ধান কাটা হয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হচ্ছে ৩ দশমিক ১৯ মেট্রিক টন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাট-বাজারে নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। ঝিনাইদহের ভাটই বাজারে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক আনছার আলী জানালেন, তিনি প্রতিমণ ধান ১হাজার ২৫টাকায় বিক্রি করেছেন। বর্তমান আবহাওয়াও অনুকুলে। কৃষকরা মাঠ থেকে ভালোমতোই ধান ঘরে তুলতে পারছেন বলে মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রেজাউল করিম রাজু জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলজুড়ে চলছে আমন ধান কাটার উৎসব। কাকডাকা ভোর হতে রাত অবধি চলছে ধান কাটাই মাড়াই। মাঠের মধ্যে বানানো খৈলান থেকে গেরস্থ বাড়ির আঙ্গিনা সর্বত্র এখন একই রকম দৃশ্য। নতুন ধানের সোঁদা গন্ধে ছাড়িয়ে আছে চারিদিক।
মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাঠের প্রায় বেশির ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। ফলনও মন্দ নয়। বিঘা প্রতি ফলন মিলছে সতের মণ। দামও হাজার টাকার উপরে। মণ প্রতি ধান প্রকার ভেদে মাঠ থেকে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সাড়ে আট হতে বারো’শ টাকা মণ দরে। এর আগে যেখানে আটশো টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করতে কৃষককে হিমসিম খেতে হয়েছে। এবার শুরুতে এমন দাম পেয়ে খুশি কৃষক। এবার আবহাওয়া অুনুকুল থাকায় সেচ খরচ যেমন কম লেগেছে। তেমনি আবার রোদ্র থাকায় পোকা মাকড়ের উপদ্রব কম ছিল। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ কম হয়েছে। আবার এখন ফলন আর দাম দুই বেশি হওয়ায় খুশি আবাদকারীরা।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: শামসুল হক গতকাল ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে বলেন, এবার বরেন্দ্র অঞ্চলে (রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ) আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৯০০ হেক্টর। আর ৩ লাখ ৯৬ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। মৌসুমে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ লাখ ৪৫ মেট্রিক টন। এরমধ্যে নওগাঁ জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০ হাজার ১১৫ মেট্রিকটন অতিরিক্ত চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন ভালো হবে। ইতোমধ্যে ৮৫ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। অল্পদিনের মধ্যে সব ধান কাটা শেষ হবে। কৃষকের তাড়া দ্রæত ধান কেটে ঘরে তোলা ও জমি খালি করে আলু পেঁয়াজসহ শীতকালীন ফসল আবাদ করা। ইতোমধ্যে খালি জমিতে আবাদ শুরু হয়ে গেছে।
কৃষকদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, এবার চালের বাজার চড়া থাকায় মিলারের লোকজন আর ফড়িয়া দালালরা আগে ভাগেই মাঠে ধান কিনতে নেমেছে। তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। কে কত ধান কিনে মজুদ করতে পারে। তাদের প্রতিযোগতার কারনে এখনও ধানের বাজার চড়া বলে মনে হচ্ছে। মাঠ থেকে গেরস্থ বাড়ির খৈলান পর্যন্ত তারা ছুটে যাচ্ছে। নিকট অতীতে তাদের এমন তৎপরতা দেখা যায়নি। বাজার এমন থাকলে আবাদকারীরা লাভবান হবে।
নেত্রকোণা জেলা সংবাদদাতা এ কে এম আব্দুল্লাহ জানান, কয়েক দফা বন্যায় নেত্রকোণার নিন্মাঞ্চল গুলোতে আমন ধানের ক্ষতি হলেও উচু এলাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। হাট-বাজারগুলোতে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে কৃষকেরা লাভের মুখ দেখছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আমন মওসুমে নেত্রকোণা জেলায় ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬ শত ২৫ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৮ শত ১৭ মেট্রিক টন। কয়েক দফা বন্যায় নেত্রকোণা জেলার নিন্মাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার ১ শত ৯০ হেক্টর জমির আমন ধানের চারা পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এতে প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকারো বেশি ফসল বিনষ্ট হয়। তারপরও নেত্রকোণা সদর, কেন্দুয়া, আটপাড়া, মদন, বারহাট্টা, পূর্বধলা, দুর্গাপুর, কলমাকান্দা ও মোহনগঞ্জ উপজেলার উচু এলাকাগুলোতে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
অগ্রহায়নের প্রথম দিন থেকেই নেত্রকোনা জেলার কৃষকরা আমন ধান কাটতে শুরু করেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকরা মাঠ ধান কাটা, মাড়াই ও শুকাতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। হাট-বাজারগুলোকে কৃষকরা ধানের ভালো দাম পাওয়ায় বন্যার ক্ষয় ক্ষতি কাটিয়ে লাভের মুখ দেখার আশা করছে। কেন্দুয়া উপজেলার দুল্লী গ্রামের কৃষক আবুল মিয়া জানান, এবার আমাদের জমিতে ধানের ফলন ভাল হয়েছে। শনিবার স্থানীয় বাজারে ১ হাজার ৮০ টাকা মন ধরে ১০ মন ধান বিক্রি করেছি। নেত্রকোণা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক কৃষকের হাতে প্রনোদনা তুলে দিয়েছে। এছাড়াও কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় আগামীতে কৃষকরা আরো বেশি করে কৃষি কাজে উৎসাহিত হবে।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা এমদাদুল হক সুমন জানান, কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁ। খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত এই জেলা। বিশেষ করে ধান উৎপাদনে অনেকটাই প্রসিদ্ধ। এবারও জেলায় আমনের ফলন ভাল হয়েছে। কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ধানের নায্য মুল্য বেশ খুশি। চলতি আমন মওসুমে জেলায় ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। বন্যায় ৫ হাজার ৮শ ৬৫ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়ে যাওয়ায় মোট ১ লাখ ৯১ হাজার ৭শ ৮৫ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ নিশ্চিত হয়। এর মধ্যে উন্নত ফলনশীল জাতের ১ লাখ ৬৪ হাজার ২শ ৪৫ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ২৭ হাজার ১শ ৮৭ হেক্টর এবং হাইব্রীড জাতের ৩শ ৫৩ হেক্টর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শামসুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন উল্লেখিত পরিমাণ জমি থেকে প্রায় ৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯শ ৪৫ মেট্রিকটন চাল উৎপাদিত হবে। ইতিমধ্যে জেলার বাজারগুলোতে আমন ধান বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এসব বাজারে প্রতি মণ ধান ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ১শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা মোঃ মনসুর আলী জানান, চলতি রোপা আমন ধান কাটা মারইয়ের উৎসব চলছে। বাজারে ধানের নায্যদাম পেয়ে এলাকার কৃষকরা খুশি। এবার পুরো মৌসুম অতি বৃষ্টিপাত ও আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় এ এলাকায় ধানে পোকামাকড় ও রোগবালাই দেখা দেয়। স্থানীয় কৃষকরা উপজেলার কৃষি অফিসের পরামর্শে ধানের পরিচর্যা ও সময়মত ঔষধ প্রযোগ করে তা প্রতিরোধ করে। এর পর ধানের ভাল ফলন এবং বাজারে ধানের ভাল দাম পেয়ে হালচাষ রোপন ও কাটামাড়াই এর মজুরি খরচ উঠার পরও লাভবান হচ্ছে স্থানীয় কৃকরা। উপজেলার চাপাপুর, কুন্দুগ্রাম, নশরতপুর, সদর, সান্তাহার, ছাতিয়িানগ্রাম, ইউনিয়নের শালগ্রাম, কোমারপুর, কালাইকুড়ি, কাল্লাগাড়ি, সাগরপুর, নিমাইদীঘিসহ আশেপাশে গ্রামগুলোতে চলছে কাটামারাইয়ের মহা উৎসব। স্থানীয় কৃষি অফিস সুত্রে জানাযায়, চলতি মৌসুমে এবার এই উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে রোপ-আমন- চাষ হয়েছে। বর্তমানে প্রতিমন ধান ১১শ’ থেকে ১২’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা মোঃ মনিরুজ্জামান খান জানান, উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের হয়েছে। হালকা বাতাশে দোল খাচ্ছে কৃষকের রঙ্গিন স্বপ্ন। ক’দিন পরে কৃষক ঘরে তুলবে সোনালী ধান। ফলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে। উপকুলীয় এ উপজেলায় প্রায়ই প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে থাকে। নানা ধরনের বাধা বিপত্তি উৎরে চাষীরা এবার আমনের ভাল ফলন পেয়ে খুশি। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রাকৃতিক বৈশিষ্টের কারনে এ অঞ্চলের জমি নিচু তাই এ উপজেলায় সাধারণত ভাদ্র আশি^ন মাসে আমনের চারা রোপন করা হয়। পরে পৌষ ও মাঘ মাসের মধ্যে ধান কাটা হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়রা সিদ্দিকা জানান, চলতি মৌসুমে ৪ হাজার সাতশ ৮৫ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলন শীলসহ ও ৫ হাজার চারশ’ ৭০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন রোগ বালাই নাই। আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছরে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা আছে। এ বিষয়ে উপজেলার পত্তাশী গ্রামের কৃষক ইউনুস আলী হাওলাদার বলেন, বুলবুল ও আম্পানের কারনের আমরা খুব ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। এ বছর এখন পর্যন্ত কোন দুর্যোগ না থাকায় ইনশাআল্লাহ ভালো ফলনের আশা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।