পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ পীর সাহেব চরমোনাই’র নামে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামক সংগঠনের মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় একটি মহল স্বাধীনতা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দেশের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা ও ওলামায়ে কেরামকে মুখোমুখি দাড় করার কারণে অনেকদিন পর্যন্ত আওয়ামীলীগকে তার খেসারত গুণতে হয়েছে।
পরবর্তীতে শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় ওলামায়ে কেরামের সাথে দূরত্ব কমিয়ে একটা হৃদ্যতাপূর্ণ অবস্থান তৈরি হয়েছে। এখনও আবার একটি কুচক্রিমহল মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামক সংগঠনের ব্যানারে দেশের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা ও ওলামায়ে কেরামকে সরকারের মুখোমুখি দাড় করে দেশকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশের ধর্মীয় নেতা ও ওলামায়ে কেরামের সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরির আগেই কুচক্রি মহলকে কঠোরহস্তে দমন করতে না পারলে দেশ এক অনিশ্চিত পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হবে। যা কারো জন্যই কল্যাণকর হবে না।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ও নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরোধী নয়, বরং তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন না করে আল্লাহর নিরানব্বই নাম খচিত স্মৃতি স্তম্ভ বা মুজিব মিনার স্থাপনের দাবি জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেছেন। অপরদিকে ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলামী রাজনীতি বন্ধের দাবি করে ওই মহলটি দেশে ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
কওমী ছাত্র সংসদ : এদিকে, কওমী ছাত্র সংসদের দোলাইপাড়স্থ সংসদের কার্যালয়ে জরুরি পরামর্শ সভায় সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, কিছু সামাজিক সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মাওলানা মামুনুল হক ও শায়েখে চরমোনাই মাওলানা ফয়জুল করীম সাহেবের ঢাকার যাত্রাবাড়ীস্থ দোলাইপাড় চত্তরসহ গোটা বাংলাদেশে ভাস্কর্যের নামে মূর্তির বিরুদ্ধে করা শান্তিপূর্ণ বক্তব্যকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরোধী বলে দাবি করে চরম মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। এমনকি তাদের কুশপুত্তলিকাদাহও করা হয়। তাদেরকে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার দালাল চক্রের সাথে তাদের সম্পৃক্তির তকমা সেঁটে দেয়া হয় অত্যন্ত জঘন্য ও ন্যাক্কারজনক পন্থায়। আমরা কওমী ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে ওইসব জ্ঞানপাপী বা স্বাধীনতা অসম্পূর্ণ ইতিহাস জানা কিংবা আলেমদের প্রতি প্রান্তিক দৃষ্টিভঙ্গিধারী সংগঠনের মুখপত্রদের বক্তব্যের কঠোর নিন্দা জানিয়ে বলতে চাই বাংলাদেশের অহঙ্কার দেশের এই দুই ইসলামি স্কলারের বিরুদ্ধে আপনাদের দাবিকৃত অযৌক্তিক, দলিলহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ অবিলম্বে প্রত্যাহার করুন। স্বাধীনতা যুদ্ধে মাওলানা ইসহাক (রহ.) ও শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক (রহ.) এর অবদানের প্রকৃত ইতিহাস আপনাদের জানা থাকলে আপনারা কখনোই এমন অবিবেচক বক্তব্য প্রদানের হিম্মত করতেন না!
তিনি বলেন, সরকারের কাছে আমাদের প্রাণের দাবি ওইসব সংগঠনের পেছনের লোকদের খুঁজে বের করে অবিলম্বে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় কওমী ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আহমাদুল্লাহ, আবু দাউদ, খাইরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, হুজাইফা খান, জাবির মাহমুদ, আবু নাঈম ও তরিকুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।