পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস মহামারিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশে ফিরে এসে যারা আটকা পড়েছেন তাদের অধিকাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রবাসী কর্মীরা দ্রুত কাতারে ফিরে যেতে চাচ্ছেন। এই পরিস্থিতির মধ্যেই দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কাজের সুযোগ দিতে যাচ্ছে কাতার সরকার। করোনা পরবর্তী প্রাথমিকভাবে আড়াইশ কর্মী গৃহস্থালি কাজের জন্য চাওয়া হয়েছে। দেশটির রাজধানী দোহায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের ওয়েবসাইটে সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
সেখানে বলা হয়, কাতারের (এ৪ঝ) কোম্পানির অধীনে শর্ত সাপেক্ষে পুরুষ ও নারী দুই পদে আড়াইশ’ জন গৃহস্থালি কাজে নিয়োগ দেয়া হবে। কাজে আগ্রহী প্রার্থীদের ৫৫২৭২২৩৯ এই ফোন নম্বর এবং পড়হঃৎড়ষ.ভধপরষরঃু@য়ধ.ম৪ং.পড়স এই ইমেল নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কাতারের শ্রম আইন অনুযায়ী সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সাক্ষাৎকারের সময় সকল প্রার্থীকে স্পন্সরশিপ পরিবর্তন, বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে।
করোনাকালে দেশটিতে শ্রমবাজার ধরে রাখতে দোহায় অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস চাকরি প্রত্যাশী কর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও একটি নোটিশ দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কাতার প্রবাসী বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে যাদের কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়া, চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াসহ নানা কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তাদের মধ্যে যারা কাতারের অন্য কোম্পানিতে কাজ করতে আগ্রহী তাদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্য দূতাবাসকে দিতে বলা হয়েছে। দেশটির কোম্পানিগুলো থেকে চাহিদা পাওয়া গেলে কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে দূতাবাস। তবে কোম্পানি পরিবর্তন করতে হলে দেশটির প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে দূতাবাসের নোটিশে।
এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে যেসব প্রবাসী কর্মী দেশে ফিরে এসেছেন। তাদের মধ্যে যাদের বয়স ৬০ বছর বা তার ওপরে তারা কাতারে ফিরে যেতে পারবেন না। কাতার প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে সম্প্রতি এমন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার সরকার। আর যাদের বয়স ৬০ বছরের নিচে হলে যেতে পারবেন। তবে যদি ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তার অনুমতি প্রয়োজন হবে এবং সে জন্য নিয়োগকর্তাকে আবেদন করতে হবে। তাহলেই ভিসা পাবেন এবং যেতে পারবেন।
দেশটিতে বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। ২০২২ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলকে কেন্দ্র করে আরও কাজের সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা ছিল সেখানে। সে সুযোগ কাজে লাগাতে সরকারের পরিকল্পনাও ছিল। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সেসব পরিকল্পনা এখন স্থগিত রয়েছে। উল্টো করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দেশটিতে জনশক্তি রফতানিতে বড় ধরনের ধস নামে। নতুন করে কর্মী পাঠানোর বদলে ফিরে আসার ঢল নেমেছে।
হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, কাজ হারানো, কাজের মেয়াদ শেষ হওয়াসহ নানা কারণে জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৬৫৫ জন কর্মী দেশে ফিরে এসেছেন। আর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মাত্র ৩ হাজার ৫০৩ জন কর্মী কাতারে যেতে পেরেছেন। আর এ সময়ে গত বছর কাতারে গিয়েছিল ৩৬ হাজার ৭০ জন। যা গত বছরের তুলনায় এবছর কাতারে জনশক্তি রফতানি হয়েছে মাত্র ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।