পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা মৃত নারীদের ধর্ষণের সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জঘন্যতম এই ঘটনায় মূলহোতা মুন্না ভগত (২০) নামে এক যুবককে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গ্রেপ্তারের পর নেট দুনিয়ায় তোলপাড় চলছে। নারীদের মরদেহের সাথে এমন 'যৌন লালসা চরিতার্থ' করার ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নেটিজেনরা।
মুন্নাকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে সিআইডি। সে মর্গের ডোমের সহকারী হিসেবে কাজ করত। সিআইডির ধারণা, অন্তত দেড় বছর ধরে মর্গে আসা নারীদের মরদেহ ধর্ষণ করে আসছিলেন অভিযুক্ত।
এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ জানিয়ে নোমান মোবারক ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘শুধু কি "বিকৃত" এ-ই লোকটি? মানব-ইতিহাসে এমন বিকৃত মানুষ খুব কম আছে, আমার মনে হয়! কিভাবে পারে এমন ঘৃণিত কাজ করতে জানা নাই। এসব শুনলে শরীরের পশম দাঁড়িয়ে যায়। মৃত্যুদন্ড হওয়া প্রয়োজন এই লোকের। যতটা "ধর্ষণ" করেছে সে, ততবার ফাঁসি হওয়া প্রয়োজন তার।’’
হাজী গহর আলী শিকদার লিখেছেন, ‘‘এই পেশায় নারীদের জন্য আলাদা নারী কর্মী নিয়োগ দিতে হবে। দেখা যায় যে, একজন অতি পরহেজগার নারীরও যদি কোনোভাবে অপমৃত্যু হয়ে যায় যে কিনা বেঁচে থাকতে কোনোদিন কোনো পরপুরুষ এর সামনে পড়েনি, তার মৃতদেহটিও এইসকল হায়েনাদের হাতে উলঙ্গ করে সুরতহাল করানো হয় যেটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এর জন্য রাষ্ট্র পরিচালককে পরকালে জবাবদিহি করতে হবে।’’
বোরহান উদ্দীন লিখেছেন, ‘‘অনেক বছর আগে একটা ভিডিও দেখেছি পাকিস্তানের এক লোক এই কাজ করে ধরা পড়ছে , তো ওদের সিআইডি জিজ্ঞাসার ভিডিওটা আপলোড করছে। আজব হয়ে গেলাম আমাদের দেশেও এতো ভয়ানক খারাপ লোক আছে, ভাবতেই গা হিম হয়ে গেছে। কিভাবে সম্ভব একটা মানুষ এতো ভয়ংকর, মাথায় আসে না। কি করা উচিত এই অমানুষ জানোয়ারকে।’’
আতিকুর রহমান লিখেছেন, ‘‘এই ২০ বছরের ছেলেকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের শাস্তি দাবি করছি। মুন্নাকে ১৭ বছর বয়সে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ১৭ বছরের ছেলের সামনে প্রতিদিন মৃতদেহ উলঙ্গ করে কাটাছেঁড়া করা হলে মানসিক বিকৃতি ঘটা অস্বাভাবিক নয়। অপরাধীর শাস্তি অবশ্যই হওয়া দরকার। তবে কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না। ১৭ বছরের শিশু শ্রমিক মুন্নাকে এমন কাজে যারা নিয়োগ দিয়েছেন তারাও অপরাধী।’’
নাফিস আদনান লিখেছেন, ‘‘দেশের বিভিন্ন মর্গে লাশ কাটার জন্যে যে ডোমরা থাকে তারা বিকৃত মানষিকতার হয়। শুধু একটা কেস সামনে আসছে সারাদেশে আরো কত মর্গে এরকম কাজ ঘটে না তার কি প্রমাণ আছে? প্রশাসনের এদিকে নজর দেওয়া উচিত।’’
আশিকুর রহমান লিখেছেন, ‘‘একটা মেয়ে জীবিত থাকতে হায়েনাদের লালসা থেকে বাঁচতে কত যুদ্ধ করতে হয়। কিন্তু মরার পর তো অন্তত শান্তি দিবি? মরেও যদি শান্তি না পায় আর যাবে টা কোথায় খুব কষ্ট লাগে হৃদয়টা ফেটে যায়।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।