পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একদিকে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঙানি অন্যদিকে রাজধানী ঢাকায় বেড়েছে ডেঙ্গুর রোগীর সংখ্যা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ অনেক রোগী ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশব্যাপী বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ যার মধ্যে অধিকাংশই রোগীই ঢাকার৷
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ঢাকায় বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু জ্বরের রোগী। অক্টোবরেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৮ জন। সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুর মূল মৌসুম শেষ হওয়ার পর বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গু রোগী। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম জানান, ‘কয়েক দিনের থেমে থেমে বৃষ্টিতে এডিস মশার লার্ভা বংশবিস্তার ও বৃদ্ধির সুযোগ পেয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার হওয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। দ্রুত মশার বংশবিস্তারের উৎস নির্মূল করলে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’
এ বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৪৫ জন, মার্চে ২৭ জন, এপ্রিলে ২৫ জন, মে মাসে ১০ জন, জুনে ২০ জন, জুলাইতে ২৩ জন, আগস্টে ৬৮ জন, সেপ্টেম্বরে ৪৭ জন, নভেম্বরে ১৩৮ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। নভেম্বরেও এর ধারা অব্যহত রয়েছে।
গত বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা এর আগের সব বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, ২০১৯ সালে সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। সরকারি হিসাবে ডেঙ্গু জ্বরে মারা গিয়েছেন ১৭৯ জন। এ বছর ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব যাচাইয়ে জরিপ পরিচালতি হয়েছে। জরিপে দেখা যায়, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ২৫টি ওয়ার্ড ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে। ‘ডিসেমিনেশন অন মুনসুন এডিস সার্ভে-২০২০’ নামের জরিপের ফলাফলে এ তথ্য উঠে আসে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মোট ১০০টি এলাকায় (ডিএনসিসি ৪১টি এবং ডিএসসিসি ৫৯টি) দুই হাজার ৯৯৯টি বাড়িতে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা ভাইরাসের ভেক্টরের ওপর এই জরিপ কাজ পরিচালিত হয়। জরিপে বলা হয়েছে, উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৬টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার সূচক ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। তবে উত্তরে ১৭ নম্বর এবং দক্ষিণে ৫১ নম্বর ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি হলে তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।