পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমেরিকায় ওষুধ নির্মাতা সংস্থা ফাইজারের করোনা টিকা বড়দিনের আগেই বাজারে আসতে পারে। বৃহস্পতিবার ফাইজারের সহযোগী সংস্থা বায়োএনটেকের সিইও উগুর সাহিন এই তথ্য জানিয়েছেন। জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক-এর সঙ্গে যৌথভাবে এমআরএনএ প্রযুক্তির সাহায্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করেছে ফাইজার।
বুধবার ফাইজার কর্তপক্ষ জানিয়েছিলেন, মানবদেহে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ সাফল্য পেয়েছে তাদের করোনা ভ্যাকসিন। এরপর বৃহস্পতিবার উগুর সাহিন জানান, ‘সব কিছু ঠিক মতোই এগোচ্ছে। আশা করছি ডিসেম্বরের গোড়াতেই আমরা করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনের ছাড়পত্র পেয়ে যাব। ক্রিসমাসের আগেই বাজারে আনতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের তৈরি ভ্যাকসিনে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ধরা পড়েনি। বয়স এবং অবস্থান ভেদে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার কোনও তারতম্য হয়নি।’
বিশ্বের ৬টি দেশের প্রায় ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর ফাইজার-বায়োএনটেক করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা হয়েছে। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, কয়েকটি ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রয়োগের পরেই মাথাব্যথা, জ্বর, পেশিতে যন্ত্রণা-সহ একাধিক উপসর্গ দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি, করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা দিলেও কতদিন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা থাকবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফাইজার কর্তৃপক্ষ অবশ্য বুধবার জানিয়ে দিয়েছেন, শুক্রবার হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ের চ‚ড়ান্ত ফলাফল বিশ্লেষণের রিপোর্ট আমেরিকার ফুড ড্রাগ অ্যান্ড সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)-এর কাছে উপস্থাপন করে জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমতি চাওয়া হবে। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই মানবদেহে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার অন্তর্র্বতী রিপোর্টে ৯০ শতাংশ সাফল্য মিলেছে বলে জানিয়েছিল আমেরিকার সংস্থাটি। ফাইজারের চেয়ারম্যান অ্যালবার্টা বুর্লাওবলেছিলেন, ‘মহামারির চরম পর্যায়ে আমাদের তৈরি প্রতিষেধক নতুন মাইল ফলক ছুঁয়েছে। বিজ্ঞান এবং মানবজাতির জন্য এটি বিরাট সুখবর।’
ভারত সরকার অবশ্য ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ফাইজারের ভ্যাকসিন সে দেশে ব্যবহার করা হবে না। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গোটা ভারতজুড়ে ফাইজারের ভ্যাকসিন বণ্টন করতে হলে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি কোল্ড চেনের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে। সে দেশে এমন পরিকাঠামো গড়ে তোলা কঠিন। এখনও পর্যন্ত দেশে-বিদেশে যে সমস্ত প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে, তার মধ্যে একটি বাদে অন্যগুলোর অধিকাংশকেই সাধারণ তাপমাত্রা থেকে মাইনাস ২০ ডিগ্রির মধ্যে সংরক্ষণ করা সম্ভব। সেই পরিকাঠামো ভারতের রয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও) এ দিন প্রতিষেধক ছাড়াই করোনা মোকাবিলার পক্ষে মতামত দিয়েছে। ডবিøউএইচও-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইকেল রায়ান এ দিন বলেন, ‘করোনা ভ্যাকসিনকে ম্যাজিক সমাধান বলে ভেবে নেয়া অনুচিত হবে। আমাদের ভাবতে হবে ভ্যাকসিনের সাহায্য ছাড়াই করোনাভাইরাসের মোকাবিলার কথা।’ সূত্র : সিএনএন, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।