পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলা হালসা আমবাড়ীয়া গ্রামের সেই সিরাজ বাহিনীর প্রধান সিরাজ (৬৫) ইন্তেকাল করেছেন বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে লন্ডনে একটি মসজিদে নামাজরত অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে এক মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি লন্ডনে তার ছেলের বাসায় থাকতেন বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আন্ডার ওয়ার্ল্ড কাঁপানো ক্যাডার সিরাজ। এক সময়ে তার বাহিনীর দাপটে কাঁপতো কুষ্টিয়াসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। ১৯৯৯ সালের ২৩ জুলাই কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়ে সিরাজ তার ১০৮ সহকর্মীসহ আত্মসমর্পণ করেন। সিরাজ বাহিনী আত্মসমর্পণ করায় কুষ্টিয়ার আমবাড়ীয়াসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এখন পর্যন্ত শান্ত। কুষ্টিয়াসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে যেখানে প্রতিদিন খুনের হোলিখেলা শুরু হয়েছিল। সকালে ঘুম ভাঙলেই লাশের মিছিল। এ রক্তের হোলি খেলা বন্ধ করেন দেশের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জননেতা নাসিম। তার সন্ত্রাসবিরোধী বক্তব্য আর সন্ত্রাসীদের বেঁধে দেয়া সময়সীমা সন্ত্রাসীদের পিলে চমকে দেয়। অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের আত্মসমর্পণ দেশের মানুষকে তাক লাগিয়ে দেয়।
১৯৯৯ সালের ২৩ জুলাই কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়ে সিরাজ তার ১০৮ সহকর্মীসহ আত্মসমর্পণ করে। সে সময় সিরাজ আত্মসমর্পণ করলেও তার বাহিনীর একাংশ বাইরে রয়ে যায়। তার আত্মসমর্পণের পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ সন্ত্রাসীদের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে। সন্ত্রাসীরাও তারা সঠিক পথ পেয়েছে।
পরে সিরাজ বাহিনীর এক সদস্য প্রশাসনের নিকট আটক হলে তিনি জানান, ১৯৯৯ সালে কুষ্টিয়ার সিরাজ বাহিনীর কিছু সদস্য অস্ত্রসমর্পণ করে। বাকী সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেষ্টা করেও ফিরে আসতে পারেনি। তাই চরমপন্থী নুরুজ্জামান লাল্টুর ‘বাংলার কমিউনিস্ট’ বাহিনীতে যোগ দেয়। পেছনে ফেলে আসা দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, সিরাজ বাহিনী মানুষকে ধরে এনে ইটের ভাটায় জীবন্ত পুড়িয়ে মারত। দামুড়হুদা থানার নতিপোতা ইউপি সদস্য মতেহার আলীকে হাত-পা বেঁধে চিমনির ভেতরে ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়।
১৯৯৪ সালে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ড থানার কাপাসটিয়া ইউনিয়নের গোলাপনগর গ্রামের আত্তাব বুড়োকে হত্যা করে তার লাশ ৩ টুকরো করে ৩ স্থানে ফেলে রাখে। একই থানার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের বরুণ গোলাপকে একটি বস্তায় ভরে বস্তার মুখ বন্ধ করে চরমপন্থীরা খেজুরের কাঁটা দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। এভাবে অনেক নৃশংস হত্যাকান্ডের বর্ণনা দেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।