পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ইসলাম এসেছে বিজয়ের জন্য। ইসলাম বিজয়ী দ্বীন তথা জীবন ব্যবস্থা। মহান রব্বুল আলামিন নবীয়ে রহমত (সা.) কে দুনিয়ায় সত্য দ্বীন ও হেদায়াত দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যেন সকল মতাদর্শের উপর দ্বীন তথা ইসলামকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। তিনি বলেন, ইসলাম সম্পর্কে জানা না থাকার কারণে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করে। ইসলামী বিধি-বিধানগুলোর কথা বললে তারা না বুঝে ওলামা-মাশায়েখদের উপর চড়াও হচ্ছে। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণ শিক্ষা দেয়। ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় কেউ কেউ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও উস্কানি দিয়ে দেশকে উত্তপ্ত করতে চাইছে। কিন্তু তারা জানেন না, এদেশ ইসলামের ভিত্তিতেই এবং মুসলমানরাই স্বাধীন করেছিল।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ টোকিও স্কয়ার কনভেনশন সেন্টারে আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ফজলুল করীম (রহ.) ইসলামিক রিচার্স সেন্টার মারকায মোহাম্মদপুর থানা শাখা আয়োজিত বিশিষ্টজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলহাজ দেওয়ান মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। এতে উত্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, সারাবিশ্বে মসজিদের শহর হিসেবে ঢাকার একটি আলাদা খ্যাতি আছে। কিন্তু এ ঢাকাকে কৌশলে একটি মহল মূর্তির শহরে পরিণত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তিনি বলেন, আমরা কারো বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি না। আমরা চাই স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু পরকালে শান্তিতে থাকুক। মূর্তি বানিয়ে তাকে অশান্তিতে ফেলার কোন প্রয়োজন নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।