পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত চিকিৎসা ফি, টেস্ট ফিসহ অন্যান্য ফি সমূহ সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে ক্যাটেগরি ভিত্তিক নির্ধারণ করে দেয়া হবে। এজন্য মন্ত্রণালয় থেকে কিছু দিনের মধ্যেই একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিকসমূহের সেবা বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান ক্লিনিক থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রিয়ভাবে করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় করোনায় দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের পূর্ণাঙ্গ সহায়তা প্রত্যাশা করেন। বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালসমূহের পক্ষ থেকে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকারকে সব ধরণের সহায়তা দেবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল খান আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার খান-এমপি প্রমুখ।
এদিকে মঙ্গলবার সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জনস্বাস্থ্য-১ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা কামাল-এর সভাপতিত্বে কমিটির একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় টাস্কফোর্স কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নি¤েœাক্ত সিদ্ধান্তগুলি নেয়া হয়- অফিস সময়ে সরকারি হাসপাতালের কোন চিকিৎসক বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকতে পারবে না। কোন কারণে কর্মরত অবস্থায় থাকলে টাস্কফোর্স ও সংশ্লিষ্টদের অবগত করতে হবে।
একই সঙ্গে হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাব, ক্লিনিকগুলিতে লাইসেন্স নিবন্ধন নম্বর স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। এছাড়া টাস্কফোর্স থেকে সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিদর্শন/অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। অপরদিকে গত ১৬ নভেম্বরের মধ্যে অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী, যুগ্মসচিব সালমা তানজিয়া, যুগ্মসচিব সায়লা ফারজানাসহ অন্যান্য সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।