Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোতোয়ালি থানার ওসিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর কোতয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক ব্যবসায়ী। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে মো. রহিম নামে এক ব্যবসায়ী মামলাটি দায়ের করেন। অপর আসামিরা হলেন- এসআই আনিসুল ইসলাম, এএসআই খায়রুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও সোর্স দেলোয়ার হোসেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। সূত্র জানায়, আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথির পর্যালোচনা করার আদেশ দেবেন বলে বিচারক জানান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রহিম গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় কাজ শেষে চরকালিগঞ্জ জেলা পরিষদ মার্কেট থেকে বাসায় ফিরছিলেন। রাত ৮টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া ব্রিজের ওপর আসলে অজ্ঞাতনামা তিন জন লোক তার গতিরোধ করেন। তারা নিজেদের ঢাকা জেলার ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। রহিমের নামে ডিবিতে মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে বলে জানায়। পরে তারা রহিমকে একটি দোকানে নিয়ে তল্লাশি করে। তবে তার কাছ থেকে কিছু উদ্ধার করতে পারেনি। দোকানে উপস্থিত লোকজন রহিমকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করে। তারপরও তারা রহিমকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে যায়। ওই অজ্ঞাতনামা তিন জন রহিমকে সিএনজিতে করে নিয়ে বাবু বাজার ব্রিজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে এসআই আনিসুল ইসলাম, এএসআই খায়রুল ইসলাম ও সোর্স দেলোয়ার উপস্থিত ছিলেন। এই তিন আসামি তাদের কাছ থেকে ৬৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট বের করে বলে এগুলো রহিমের কাছ থেকে পাওয়া গেছে। আনিসুল ইসলাম বলেন, যদি ফাঁসতে না চাস তাহলে দুই লাখ টাকা জোগাড় কর। না হলে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেবো। এ থেকে বাঁচার জন্য রহিম তার কাছে থাকা এক ভরি স্বর্ণের চেন, নগদ ১৩ হাজার টাকা তুলে দেন। দাবিকৃত দুই লাখ টাকা দিতে না পারায় তারা রহিমকে রাত সোয়া ৯টার দিে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে আসে। পরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রহিম তাদের ৫০ হাজার টাকা দেয়। রাত ১১ টা ৪০ মিনিটের দিকে ওসি মিজানুর রহমান রহিমকে ডেকে নেন। তাকে বলেন, তোকে বাঁচিয়ে দিলাম। ছোট মামলা দিলাম, দুই একদিনের মধ্যে বের হয়ে আসতে পারবি।

অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, দাবিকৃত দুই লাখ টাকা দিতে না পারায় তার বিরুদ্ধে ১০ পিস ইয়াবার মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ১৭ দিন জেলে থেকে ৩০ অক্টোবর জামিনে মুক্তি পান রহিম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ