Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুম-খুনের নেশায় সরকার বেপরোয়া: বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য ও এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করতে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিরোধী নেতাকর্মীদের কারান্তরীণ করার পাশাপাশি গুম-খুনের নেশায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বর্তমান জোরজবরদস্তির অনৈতিক সরকার। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার রাষ্ট্রক্ষমতাকে চিরকাল কুক্ষিগত রাখতে দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদেরকে হত্যা, বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা ও গুম করার মাধ্যমে এক ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। দেশ যেন এখন এক মৃত্যু উপত্যকা ও গুমের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানকে ফার্মগেট এবং পল্টন থেকে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ করা হয়েছে, কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করছে না। তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা গুম করা হয়েছে এই আশঙ্কায় দলের নেতাকর্মীসহ তাদের পরিবার-পরিজন গভীর উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছেন। আমরা নিশ্চিত যে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই মোস্তাফিজুর রহমান এবং মিজানুর রহমান মিজানকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। বর্তমান সরকার বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে গুমের মতো নিষ্ঠুর অপকর্ম করে বিএনপি’র নেতাকর্মীদেরকে রাজনৈতিক ময়দান থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছে।
প্রিন্স অবিলম্বে মোস্তাফিজুর রহমান এবং মিজানুর রহমান মিজানকে জনসম্মুখে হাজির করার জোর আহবান জানান। নচেৎ তাদেরকে নিয়ে অনাকাক্সিক্ষত কিছু ঘটলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। এছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক জামশেদ উদ্দীনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তার বস্তাবন্দী লাশ সীতাকুন্ড সাগর পাড়ে পাওয়া যায়। পৈশাচিক এই হত্যা করার ঘটনায় বিএনপি’র পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানানো হয় এবং অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি করা হয়।
এদিকে গাড়ি পোড়ানো মামলার বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, নজীরবিহীন ভোট ডাকাতি, জালিয়াতি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে প্রহসনের নির্বাচন থেকে জনদৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই ঢাকায় কয়েকটি গণপরিবহনে আগুন লাগিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ শতাধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বানোয়াট ও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাদী হিসেবে যার নাম রয়েছে তিনি মামলা দায়ের করেননি বলে জানিয়েছেন। এসব মিথ্যা মামলায় করোনাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল বা বাসায় কোয়ারেন্টাইন বা চিকিৎসাধীন থাকা নেতাকর্মী, পঙ্গুত্ব বরণকারী নেতাকর্মী, রাজনৈতিক-সাংগঠনিক বা ব্যবসায়িক কাজে ঐদিন ঢাকার বাইরে অবস্থান করা নেতাকর্মী, স্থায়ীভাবে ঢাকার বাইরের অঞ্চলে বসবাসরত নেতাকর্মীদেরকেও জড়ানো হয়েছে, তাতে প্রমাণিত হয়েছে-সরকার অতীতের মতো এখনও প্রতিহিংসা ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে হয়রানী করতে বদ্ধপরিকর। এই ঘটনার পর বেপরোয়াভাবে নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে পুলিশী তল্লাশী অভিযান চলমান রাখা হয়েছে। এমনকি রাজধানীর বাইরেও বিভিন্ন অঞ্চলেও একই কায়দায় নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার অভিযান চলছে। নেতাকর্মীদের বাসায় না পেয়ে বাসার সদস্যদের সাথে পুলিশ অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে। ###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ