সরকারি কর্মচারীদের অবিলম্বে ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান, নতুন জাতীয় বেতন কমিশন গঠন ও চিকিৎসা ভাতা ৩ হাজার টাকা প্রদানের দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি। রোববার (১৫ নভেম্বর) ফার্মগেটের খামারবাড়ীস্থ আ ক ম গিয়াসউদ্দিন মিলকী অডিটোরিয়ামে সমিতির ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা ও ঢাকা মহানগর কমিটির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের অভিষেক অনুষ্ঠানে এসব দাবী জানানো হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহ্ফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৫ তে সর্বশেষ (৮ম) জাতীয় বেতন স্কেল প্রদানের পর চিকিৎসা ব্যয়সহ দফায় দফায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের কর্মচারীরা হতাশাগ্রস্থ ও দিশেহারা। বাৎসরিক ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধি হলেও তা জীবনযাত্রার ব্যয়ের সাথে একেবারেই সামঞ্জস্যহীন। তাই জাতীয় বেতন কশিমন গঠন ও নতুন বেতন স্কেল কার্যকর না করা পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান ও কমপক্ষে ৩ হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা প্রদানের দাবী জানান।

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্য নিরসনকল্পে বাংলাদেশ সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয় বহির্ভূত দপ্তর, প্রতিষ্ঠান, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের দপ্তরে কর্মরত প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, স্টেনোগ্রাফার, কম্পিউটার অপারেটরসহ সমমানের সমমর্যাদার কর্মচারীদের পদ-পদবী প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্বপদে দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা ও বেতনস্কেল প্রদান, ডিপ্লোমা নার্সদের ন্যায় সমশিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ডিপ্লোমা হেলথ টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট ও সমশিক্ষাগত যোগ্যতাধারীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদাসহ বেতনস্কেল প্রদানের জন্য নেতৃবৃন্দ জোড় দাবী জানান। অনুষ্ঠানে সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশীদ প্রধান অতিথি ও সমিতির অন্যতম উপদেষ্টা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মো. শফিউল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সমিতির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকীতে বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদন করাসহ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ (ভিশন ২০২১: ডিজিটাল বাংলাদেশ) এর মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার যে ভিশন ও মিশন এর কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন প্রজাতন্ত্রের ৩য় শ্রেণীর কর্মচারীরা প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা প্রতিপালনে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সমিতির ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ঢাকা মহানগর কমিটির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব মো. লুৎফর রহমান (বিএসটিআই); কার্যকরী সভাপতি মো. আব্দুল কাদের (শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর), মো. ছালজার রহমান (জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো); সহ-সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান (বিজি প্রেস), মো. নূরুন্নবী (সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর), মো. নজরুল ইসলাম (মৃত্তিকা উন্নয়ন), মো. রায়হান উদ্দিন চৌধুরী (কুষ্ঠ হাসপাতাল), মো. আসাদুজ্জামান (ঢাকা জর্জকোর্ট), মো. তাইজুল ইসলাম (কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর), মো. সুরতুজ্জামান (ভূমি জরিপ); যুগ্ম মহাসচিব মো. সেলিম মোল্লাহ (হৃদরোগ হাসপাতাল), তাপস কুমার সাহা (ক্যান্সার হাসপাতাল), মো. আব্দুল ওয়াদুদ (শ্রম আদালত), মো. মনির হোসেন বাবু (আর্কাইভ অধিদপ্তর), মো. মজিবুর রহমান খান (ঢাকা মেডিকেল), মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর), হাফেজ আহমেদ (সার্ভে বাংলাদেশ), মো. খতিবুর রহমান (কম্পিউটার কাউন্সিল); মো. নাসির উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক, খামারবাড়ী নন-গেজেটেড কর্মচারি সমিতি, অর্থ সম্পাদক মো. হারেছ (বিএসটিআই); সহকারী মহাসচিব মো. মনিরুল ইসলাম (ডেন্টাল হাসপাতাল), মো. মফিজুল ইসলাম পিন্টু (টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর), শফীকুল ইসলাম (মহিলা অধিদপ্তর), মারজাহান আক্তার নিপা (সড়ক ও জনপদ), মো. ইউসুফ (মৎস্য অধিদপ্তর), মো. সেলিম রেজা (নিউরো হাসপাতাল), লায়ন মো. জালাল উদ্দিন (আবহাওয়া অধিদপ্তর); সাংগঠনিক সচিব মো. মনিরুল ইসলাম (মুগ্দা হাসপাতাল), মো. জসিম উদ্দিন (মিটফোর্ট মেডিকেল কলেজ), মো. আব্দুল জলিল (মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তর), মো. মনির হোসেন (সড়ক ও জনপথ); ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন (পরিসংখ্যান ব্যুরো; কার্যকরী সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান (জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো); সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মামুন (ঢাকা মেডিকেল কলেজ); অতিরিক্ত সাধারন সম্পাদক মো. এনামুল হক (মিটফোর্ট মেডিকেল হাসপাতাল); মো. হুমায়ুন কবির (কিডনী হাসপালতাল) ও মো. মোজাম্মেল হক (নিপোর্ট), সায়মা আক্তার সীমা (সার্ভে বাংলাদেশ), মো. মিজানুর রহমান (ত্রাণ অধিদপ্তর), মো. লুৎফর রহমান (ডিএমপি), মো. সিরাজুল ইসলাম (পিজি হাসপাতাল), যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন (বিএসটিআই), আতাউর রহমান (বিএসটিআই) প্রমূখ।