ধর্ম সচিব মো. নুরুল ইসলাম বলেছেন,মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এই পৃথিবীতে এসেছিলেন মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে পরিচালিত করতে। জগতে আলো ছড়িয়ে সকল অন্ধকারকে জয় করতেই মহান আল্লাহ তাঁকে প্রেরণ করেছিলেন। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ধর্ম, সমাজ, ইসলাম ও মানবজীবনের পূর্নতা দান করে গেছেন। তাঁর উম্মত হিসেবে আমাদের তাঁর দেখানো জীবনাচরণ ও আদর্শ মেনে চলতে হবে।
তিনি আজ রোববার দুপুর ১২ টায় ঢাকা আগারগাঁও ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ধর্ম সচিব আরো বলেন, মানুষের এমন কোন ভালো গুণ নেই যা মহানবী (সা.) এর চরিত্রে ছিলনা। তিনি ছিলেন সৃষ্টি জগতের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি। তাঁর মহান ব্যক্তিত্বের কারণে শুধু মুসলমানরাই নয়, অমুসলিম গণও তাঁকে সর্বোচ্চ সন্মান করে পৃথিবীর এক নম্বর ব্যক্তি হিসেবে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভনর ড. মাওলানা মুহাম্মদ কাফীলুদ্দীন সরকার ও গভর্নর আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণ শিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর ভারপ্রাপ্ত সচিব ফারুক আহম্মেদ।
ড. মাওলানা মুহাম্মদ কাফীলুদ্দীন সরকার বলেন, মহানবীর জীবনাচরণ যাতে আমরা সবসময় ধারণ করতে পারি সেই লক্ষ্যেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতি বছর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে থাকে। তিনি বলেন, আমরা সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতার আলোয় আলোকিত হব যখন আমরা মহানবীর জীবনাচরণ ও আদর্শ ধারণ করতে পারব।

অনুষ্ঠান শেষে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। অনলাইনভিত্তিক এ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় চারটি বিভাগ থেকে মোট ১৫ জন প্রতিযোগিকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রতিযোগিতায় ২ শতাধিক প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন।