পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, আর্ত-মানবতার সেবা করা ইসলামের অন্যতম নির্দেশ। দুস্থ ও নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা ও কল্যাণ করা ইসলামের কাজ। তিনি বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম, মানবতার ধর্ম। কল্যাণকামীতাই ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যুগে যুগে নবী-রাসুল (সা.)গণ মানুষের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অপরেিদক একশ্রেণির মানুষ সীমাহীন আরাম আয়েশে জীবন কাটাচ্ছে। গরিব-অসহায় মানুষের প্রতি তাদের কোন দরদ নেই। এই অসহায় মানুষের সেবার মানসিকতা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে সারাদেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী অনেক ব্যক্তির লাশ দাফন-কাফন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বৃহৎ সেবার মানসিকতা নিয়ে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের উদ্বোধনের মাধ্যমে মানব কল্যাণে অনেক দূর এগিয়ে যেতেই আজকের এই প্রয়াস।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত আর্ত-মানবতার সেবায় এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারি মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, আলহাজ মনির হোসেন, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, আলহাজ আনোয়ার হোসেন, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক। উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ছাত্রনেতা এম. হাছিবুল ইসলাম।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, যুগে যুগে ইসলামের অপব্যাখা করে একটি গোষ্ঠী মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। তার মোকাবেলায় সঠিক সমাধান তুলে ধরে মানুষকে বিভ্রান্ত থেকে রক্ষা করার উদ্যোগ নিয়ে একটি উচ্চতর ইসলামী গবেষণাগার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছে। এ লক্ষে সৈয়দ মোহাম্মদ ফজলুল করীম (রহ.) ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার (মারকায) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ মহতি উদ্যোগকে এগিয়ে নেয়া সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, করোনাকালীণ সময়ে কাজ করতে গিয়ে একটি এ্যাম্বুলেন্স-এর অভাব গভীরভাবে অনুভূত হয়েছে। সে থেকে উদ্যোগ নিয়ে আজকের এ শুভক্ষণে মহান রব্বুল আলামিন শোকরিয়া আদায় করছি। সেই সাথে যারা এ্যাম্বুলেন্স ক্রয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।