Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আ.লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিশনের দায়িত্বে সিইসি

সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্স

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০২ এএম

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সাংবিধানিক পদে নয়, আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিশনের দায়িত্ব পালন করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, পৃথিবীতে যুগে যুগে দুই একজন গণবিরোধী বিশ্বাসঘাতকদের সৃষ্টি হয়েছে যাদের কারনে একটি জাতি স্বাধীনতা হারিয়েছে অথবা করুণ দশার মুখোমুখি হয়েছে। এই বিশ্বাসঘাতকরা শুধুমাত্র নিজেদের পদ ও ক্ষমতার স্বার্থে পুরো জাতিকে ভয়াবহ বিপদের মুখে ফেলে দেয়। তাদেরই মতোই নতুন এক দলকানা ও সেবাদাস প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদাকে জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার। নুরুল হুদার আচার-আচরণ কাজ-কর্ম কথাবার্তায় মনে হয় তিনি নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক কোন পদে নয় বরং তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিশনের প্রধান দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রিন্স বলেন, গণতন্ত্রধ্বংসকারী নুরুল হুদা মনে করেন দেশবাসী সব বোকা আর তিনি খুব চতুর চালাক। তিনি দেশের মানুষকে নির্বাচন নিয়ে জ্ঞান দেন, অংক শেখান! এই সকল ব্যাখ্যার জন্য সাধারণ মানুষ নুরুল হুদা সাহেবকে অনেক আগে থেকেই বিশ্বাস করে না। কারণ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে তিনি পুরোপুরি কলুষিত করেছেন। নির্বাচনে ভোট কারচুপি এবং ব্যাপক সন্ত্রাস হলেও তিনি দ্বিধাহীনভাবে অতীতে বলেছেন-নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে। আর সন্ত্রাস বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তার নিলর্জ্জ জবাব ছিল-এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ঢাকা-১৮ এবং সিরাজগঞ্জ-১ শুন্য আসনের দুটিতে ধানের শীষের ব্যাপক জোয়ার দেখে আওয়ামী লীগ আসন দুটিতে ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, যাতে সাধারণ ভোটার’রা ভোটকেন্দ্রে যেতে সাহস না পায়। ঢাকা-১৮ আসনে সাধারণ কিছু ভোটার যারা ক্ষমতাসীন মাস্তানদের প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে ভোটকেন্দ্রে গেছেন, তারাও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে ইভিএম-এ ভোট প্রয়োগ করতে পারেনি, কারন তাদের ভোট আগে থেকেই আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে দিয়ে দেয়া হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলতে যা বোঝায় তা কিছুই ছিল না। ছিল শুধু সরকারী ক্ষমতার দাপট এবং নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনের আজ্ঞাবহতা। নির্বাচনের মাত্র দু’দিন আগে আওয়ামী লীগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ঢাকা-১৮ আসনে তাদের একটি নির্বাচনী ক্যাম্প নিজেরাই ভাংচুর করে বিএনপি’র ২৩৫ জন নেতাকর্মীর নামসহ অজ্ঞাত আরও শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দায়ের করে। এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে, দেশের মালিকানা কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়ে রাষ্ট্রীয় শক্তিগুলোকে দখলে নিয়ে দেশে মাস্তানতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছে।

এই মাস্তানতন্ত্রের স্টেক হোল্ডারদেরকে দিয়ে হুন্ডা-গুন্ডা-ডান্ডার নির্বাচন করে পুরো জাতিকে অন্ধকারের অতল গহব্বরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ব্যর্থতায় সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের আজ্ঞাবহ প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশন ও প্রশাসনকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিইসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ