Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অসহায় কর্মীদের চাকরির উদ্যোগ নিচ্ছে হাইকমিশন

ব্রুনাইতে মানবপাচার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০২০, ৮:৩০ পিএম

ব্রুনাইতে মানবপাচারের শিকার শত শত অসহায় প্রবাসী কর্মীকে দেশটির বিভিন্ন কোম্পানীতে চাকরি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে দারুসসালামস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। গতকাল ব্রুনাইস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের লেবার উইংয়ের শ্রম সচিব জিলাল হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হাই কমিশনার নাহিদা রহমান সুমনার নির্দেশের হাই কমিশনের শ্রম কল্যাণ উইং দেশটির কয়েকটি কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করে মানবপাচারের শিকার অসহায় প্রবাসী কর্মীদের চাকরি দেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। আাজ বুধবার ব্রুনাই দারুসসালামস্থ হাই কমিশন প্রাঙ্গনে দেশটির মিনস্যান ডেকন সিন্ডিরিয়ান বারহাঠ কোম্পানীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মানবপাচারের শিকার কর্মীদের চাকরি দেয়ার জন্য সরাসরি ইন্টারভিউ নেয়। এতে ৬৫ জন অসহায় কর্মীর নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়। আরো কয়েকটি কোম্পানী হাই কমিশনে উপস্থিত হয়ে অসহায় প্রবাসী কর্মীদের ইন্টারভিউ নিয়ে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হাই কমিশনের এ ধরণের উদ্যোগে অসহায় প্রবাসী কর্মীদের মাঝে আনন্দের ঢেউ বইছে। গত দু’বছর আগে দালাল চক্রের প্রতারণার শিকার হয়ে ব্রুনাইতে হাজার হাজার প্রবাসী কর্মী চাকরি না পেয়ে নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছে।
সিআইডি’র সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্রুনাইতে মানবপাচারের সাথে জড়িত প্রতারক আব্দুর রহিমসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্রুনাইয়ের দালাল চক্রের মূলহোতা মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের পিরোজপুর গ্রামের মেহেদি হাসান বিজন। ২০১৬ সালে গাড়ি চালক হিসেবে ব্রুনাই যায় বিজন। মাত্র তিন বছরেই প্রায় ১৫টি কোম্পানীর মালিক বনে যান এই গাড়ি চালক। মালয়েশিয়ান এক নারীর সঙ্গে বন্ধুতা গড়েন। তার কথিত কোম্পানির নামে কোনো প্রকল্প বা কাজ না থাকলেও প্রতিনিয়ত শত শত বাংলাদেশির নামে কর্মসংস্থান ভিসা তৈরি করছে। এসব বাংলাদেশে দালালদের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। ব্রুনাই লেবার এবং ইমিগ্রেশন অফিসের সকল পর্যায়ে রয়েছে তার প্রভাব।
ব্রুনাইতে মানবপাচারের টাকায় দালালদের অনেকেই ইন্দোনেশিয়ায় বাড়ি গাড়ি করেছেন। হাই কমিশন সূত্র জানায়, দূতাবাস কর্তৃক ভিসা সত্যায়ন না করেই ভূয়া স্মার্টকার্ড ব্যবহার করে অবৈধভাবে শ্রমিক নিয়েছে মেহেদি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেহেদি হাসান বিজনের পাসপোর্ট বাতিল করে তাকে কালো তালিকাভূক্ত করে ব্রুনাই দেশে পাঠানো হয়। তবুও ব্রুনাইয়ে তার অবৈধ ব্যবসা থেমে নেই। তা দেখভাল করছে মেহেদি আনাম সাদ্দাম নামে তার এক ভাই। ইতিমধ্যে সাদ্দামের বিরুদ্ধে হাই কমিশনে ১২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এদিকে বিভিন্ন মামলার আসামি বিজন দেশে থাকলেও তাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ