পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের ২০ হাজার বিচার বিভাগীয় কর্মচারী তিন দফার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। আইনমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান শেষে এ কথা জানান সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। দাবিগুলো হচ্ছে- অধস্তন আদালতের কর্মচারীদের জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে সেই অনুযায়ী বেতনস্কেলে বেতন-ভাতা প্রদান, সকল ব্লক পদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃষ্টি করে হাইকোর্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের মতো সিনিয়রিটি ও দক্ষতার ভিত্তিতে প্রতি ৫ বছর অন্তর পদোন্নতি প্রদান উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থা এবং অধন্তন সকল আদালতের কর্মচারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন করে এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন।
সংগঠনের সেক্রেটারি কাজী সালাউদ্দিন জানান, ইতিমধ্যে দাবি আদায়ে আমরা তিন দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। গতকাল সারা দেশের আদালতগুলোতে দাবি সম্বলিত ব্যানার টাঙানো হয়েছে। আজ সারা দেশের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ এবং ২৭ নভেম্বরের মধ্যে দাবি আদায়ের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে ২৮ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রয়োজনে লাগাতার কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৩, ১৯৮৩ ও ১৯৮৯ সালের জাতীয় বেতন স্কেল এবং পরবর্তী সকল বেতন স্কেল পর্যালোচনায় দেখা যায়, হাইকোর্ট বিভাগ ও আইন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে নতুন পদবি বিন্যাসে বেশকিছু ২য় শ্রেণির পদ রয়েছে এবং কিছু নতুন পদও সৃষ্টি করা হয়েছে।
এক সময় আদালতের সেরেস্তদারদের এর কর্মমান ও কর্মপরিধি অনুসারে তিনি এমন মর্যাদা পেতেন যে, তারা অফিসার্স ক্লাবের সদস্য হতে পারতেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পিতা মরহুম শেখ লুৎফর রহমান একাধারে আদালতের একজন সেরেস্তাদার ছিলেন। অপরদিকে গোপালগঞ্জ অফিসার্স ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন।
সাবেক জেলা জজ ও জুডিশিয়াল অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মাসদার হোসেন বলেন, বিচার বিভাগে কর্মরত নাজির, স্টেনোগ্রাফার, স্টেনো টাইপিস্ট, রেকর্ড কিপার, অ্যাকাউন্টেন্ট, প্রধান তুলনা কারক, বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) সহ প্রায় ৩০-৪০ পদের কর্মচারী রয়েছে। কিন্তু এরা জুডিশিয়াল কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত নয়। এদের কোনো পদোন্নতির ব্যবস্থা নেই। এমন কি তাদের বেতন-ভাতাও জুডিশিয়াল পে-স্কেল অনুসারে হয় না। এটা তাদের জন্য ডিসক্রিমিনেশন। এসব কর্মচারীকে বিচার বিভাগের কর্মচারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহ মো. মামুন ইনকিলাবকে বলেন, বিচারকদের দৈনন্দিন বিচারকাজ সম্পাদনে সহায়তা করে থাকেন আদালতের সহায়ক কর্মচারীবৃন্দ। আমরা আদালতের দৈনন্দিন বিচারিক, প্রশাসনিক ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সুচারুরূপে সম্পাদন করি। সরকার ২০০৯ সালে জুডিশিয়াল বেতন-ভাতা নামক স্বতন্ত্র পে-স্কেল প্রণয়ন করে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আমরা সহায়ক কর্মচারী হিসেবে কাজ করলেও আমাদেরকে জুডিশিয়াল পে-স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।