পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
# ১৩ নভেম্বর দোলাইপাড় চত্বরের গণসমাবেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, মূর্তি মুসলমানের কোন সংস্কৃতি নয়, এটা বিজাতীয় সংস্কৃতি। যুগে যুগে সকল নবী ও রাসূলগণ মূর্তি ধ্বংস করে একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করতে দুনিয়ায় এসেছিলেন। কাজেই মুসলমানরা এধরণের কোন সংস্কৃতি লালন করতে পারে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন মিনার বা স্মৃতিস্তম্ভ দেখা যায়। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তিকে যদি স্মরণ করতে হয় তাহলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ফলক বা স্মতিস্তম্ভ দেখা যায়। কোরআন খচিত স্তম্ভ, মিনার খচিত স্তম্ভ, আল্লাহর নিরানব্বই নাম সম্বলিত মিনার ইত্যাদি স্থাপনের মাধ্যমে স্মরণ করা যায়। কিন্তু মূর্তি বানিয়ে স্মরণ করা শরীয়াহ’র সাথে সাংঘর্ষিক। কাজেই মসজিদের এই নগরীকে মূর্তির নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠার কোন পদক্ষেপ ভাল ফল বয়ে আনবে না। এতে অকল্যাণ হবে, দেশে ভয়াবহ আজ-গজব শুরু হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ১৩ নভেম্বর দোলাইপাড় চত্বরে অনুষ্ঠিতব্য গণসমাবেশ সফলের লক্ষে উলামায়ে কেরামের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মুফতী মোস্তফা কামাল, মুফতী মানসুর আহমদ সাকী।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, মূর্তি কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। মূর্তি সবসময় অকল্যাণ বয়ে আনে। ঈমানদার জনতা ঈমানী দাবিতে ১৩ নভেম্বর রাজপথে নেমে আসবে এবং মূর্তির পরিবর্তে স্মৃতি মিনার বা আল্লাহর ৯৯ নাম খচিত স্মৃতি মিনার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর রূহের মাগফিরাত কামনায় মূর্তি না বানিয়ে আল্লাহর নাম সম্বলিত মিনার বানালে ঈমানদার জনতা দোয়া করবে।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর : গত কয়েকদিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে হিন্দু-বৈদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নামে আয়োজিত প্রোগ্রামে এ সংগঠনের কর্মীরা যেসব উগ্র হিন্দুত্ববাদের উস্কানীমূল শ্লোগান দিয়েছে তা খুবই ন্যাক্কারজনক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে ঘোরতর ষড়যন্ত্রের পূর্বাভাষ এগুলো। এরা বাংলাদেশে বসবাস করলেও দেশের জন্য কিংবা এদেশের জনগণের কল্যাণে এদের কোন তৎপরতা বা কর্মসূচি দেখা যায় না। বরং দেশের বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র করা, বিভিন্ন ফোরামে নালিশ করে ব্যক্তি ফায়েদা লুটা, উস্কানীমূলক বক্তব্য বা শ্লোগান প্রদান ও হিংসা ছড়ানোই যেন এদের মূল এজেন্ডা। এরা এদেশে খেয়ে-পড়ে দেশের বিরুদ্ধে নেমক হারামী করে। এ জাতীয় সংগঠন দেশের জন্য হুমকি। সরকারকে এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আইনের আওতায় এনে বিচার করুন। আজ সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ ঢাকার কল্যাণপুর নতুনবাজার বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, ডা. মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাষ্টার অরেন্ট অফিসার (অব.) আলহাজ আমিনুল ইসলাম ও আলহাজ আলাউদ্দিন। পরে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নতুন পোষাক, নগদ অর্থ ও খাদ্য সমাগ্রি বিতরণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।