পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শনিবার চট্টগ্রামে জাগো হিন্দু পরিষদের ব্যানার ব্যবহার করে যারা আপত্তিকর স্লোগান দিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিষয়ে একমত পোষণ করেছে সংগঠনের দশ সদস্য প্রতিনিধি দল। তারা বলেন, গত শনিবার চট্টগ্রামে জাগো হিন্দু পরিষদের ব্যানার ব্যবহার করে দুইটি ইসলামী দলের সর্ম্পকে যে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করে স্লোগান দেয়া হয়, এমন স্লোগান অবশ্যই আপত্তিকর ও দুঃখজনক। এধরণের স্লোগানের সঙ্গে আমরা একমত নই। চট্টগ্রামের বিক্ষোভ সমাবেশে জাগো হিন্দু পরিষদের ব্যানার ব্যবহার করে যারা আপত্তিকর স্লোগান দিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিষয়ে উভয় পক্ষ একমত পোষণ করেন। তারা বলেন, জাগো হিন্দু পরিষদ অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। জাগো হিন্দু পরিষদ অন্য ধর্মকে সম্মান করে নিজেদের অধিকার আদায় নিয়ে কাজ করে। সুতরাং যারা আপত্তিকর স্লোগান দিয়েছে এ ঘটনায় জাগো হিন্দু পরিষদ তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
আজ সোমবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাগো হিন্দু পরিষদের উপদেষ্টা মিলন শর্মার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান-এর উপস্থিতিতে এক বৈঠকে এ দুঃখ প্রকাশ করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোন উস্কানি না দেয়, সবাইকে শান্ত ও সর্তক থাকার অনুরোধ জানিয়ে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবার প্রতি অনুরোধ করা হয়।
উক্ত বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পীর সাহেব চরমোনাই এর নেতৃত্বে গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে গণমানুষের অধিকার আদায়ে রাজনীতি করছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থানে বিশ্বাসী। যেকোনো ধরণের উগ্রতা ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নস্যাৎ করার যেকোনো অপচেষ্টাকে ইসলামী আন্দোলন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং হেফাজতে ইসলামকে লক্ষ্য করে যে উগ্র স্লোগান দেয়া হয়েছে তা উদ্দেশ্যমূলক এবং পরিকল্পিত। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যেমে যারা নতুন সঙ্কট তৈরি করতে চায় চট্টগ্রামে উগ্র স্লোগান দাতারা মূলত তাদেরই দোসর। তিনি আরো বলেন, জাগো হিন্দু পরিষদের নেতৃবৃন্দের ভাষ্য অনুযায়ী আমরাও প্রশাসনকে বলতে চাই যে বা যারা চট্টগ্রামে উগ্রতা ছড়িয়ে নাশকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ভবিষ্যতে এমন উস্কানিমূলক ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে এ ব্যাপারে প্রশাসনের কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি ঘটনার নাজুকতা উপলব্ধি করে সঠিক উদ্যোগ গ্রহণ করায় জাগো হিন্দু পরিষদের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান এবং দেশের স্বার্থে ভবিষ্যতেও যে কোন সঙ্কটে আলোচনার ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
উক্ত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলনের সহযোগি সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল, কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম এম শোয়াইব এবং জাগো হিন্দু পরিষদের সভাপতি সঞ্জয় বনিক, সহ-সভাপতি অভিজিত বনিক, উপদেষ্টা দেবু সরকার, সাধারণ সম্পাদক নিতাই দেবনাথ, কোষাধ্যক্ষ পলাশ মজুমদার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।