পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) জনগোষ্ঠীদের জন্য দেশে প্রথমবারের মতো একটি মাদ্রাসা চালু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রসংশায় ভাসছেন উদ্যোক্তারা। তাদের এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। মাদ্রাসাটি চালুর সংবাদ বিশেষভাবে স্থান করে নেয় ফেসবুকে।
মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি আবদুর রহমান আজাদের এই উদ্যোগের ভুয়সি প্রসংশা করেছেন দেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। গতকাল তিনি তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে মাওলানা আজাদকে স্যালুট জানিয়েছেন।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘আসুন আমরা মাওলানা আব্দুর রহমান আজাদের কথা বলি, তাঁর মানবিক বোধের কথা বলি! সামাজিক ট্যাবুর বাইরে গিয়া ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য ধর্মীয় শিক্ষার জায়গা তৈরী করা মোটামুটি একটা বিপ্লবই বটে! আপনি যদি এইটা মাথায় রাখেন যে আমরা সেই সমাজের কথা বলছি, যেখানে আমরা এইরকম কথাও শুনেছি- কেউ যদি সকালে বের হয়েই হিজড়া দেখে তাহলে তার সারা দিন কুফা যাবে! মাওলানা আব্দুর রহমান আজাদ, আপনাকে স্যালুট! শফিকুল আলম ভাইকে টুপি খোলা সালাম এইটা নিয়ে রিপোর্ট করার জন্য!’’
বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘যে সমাজ তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ গুলোকে অলক্ষুণে মনে করে নাম দিয়েছে হিজড়া। যে সমাজে বৃহন্নলারা চাঁদাবাজি, ভিক্ষাবৃত্তি, যৌনতা, মাদক পাচারের মত অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িত থেকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা জীবন যাপন করে আসছে কয়েক শতাব্দী ধরে সেই সমাজে বৃহন্নলাদেরকে এভাবে মূল স্রোতধারায় এনে পূনর্বাসনের উদ্যোগ নিতে অতীতে কাউকে দেখা যায়নি। উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত মহিলাদেরকেও এভাবে পুনর্বাসিত করা যায় কিনা ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো।’’
শেখ হারিছ লিখেছেন, ‘‘এটি একটি মহতি উদ্যোগ। ওরাও তো মানুষ। মানুষ হিসাবেই সত্যিই এরা সে মর্যাদা পায়না।জীবন হাত পেতে, চাঁদা তোলে চলেনা। যে শিক্ষা ছোট থেকে বা অতীত থেকে পেয়েছে, তা কোন দিন সঠিক শিক্ষা হতে পারেনা। একজন মানুষ হিসাবে কি করে অন্য মানুষের কাছে হাত পেতে চলবে? তাদেরও অধিকার আছে সম্মানিত হওয়ার। সে ক্ষেএে এই মাদ্রাসাতে পড়াশোনা করলে ধর্ম শিক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে তারা যেমন সম্মানিত হবে, এবং নিজের বুদ্ধি ও শরীর খাটিয়ে কাজ করে চলতে পারবে। তবে এই ধরনের মাদ্রাসা আরও দেশের বিভিন্ন যায়গায় করলে ভালো হবে। এমনকি ভবিষ্যতে আরও উন্নত মর্যাদা পাবে। এটি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত তার জন্য কর্তৃপক্ষ সাধুবাদ পেতেই পারে। তবে কোনো মহল উল্টোও বলতে পারে।’’
সুমন রহমান লিখেছেন, ‘‘এইটা বিরাট বৈপ্লবিক ব্যাপার ঘটলো। ধর্মের জায়গা থেকে যেমন, মানবিকতার জায়গা থেকেও তেমনি। কেউ হারলো না, কিন্তু জিতলো মানুষ। বহুদিন পর এমন একটা জয় দেখা গেল।’’
মোঃ হুমায়ুন কবির লিখেছেন, ‘‘বর্তমান তৃতীয় শ্রেণী তথা হিজড়ারা চাঁদাবাজি অপকর্মের সহ বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েছে... এমতাবস্থায় উক্ত সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই... যাতে তারা সমাজের বোঝা না হয়ে... ধর্মীয় ও কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ...দেশ ও দশের সেবা করে ...নিজেকে সৎ ও নিষ্ঠাবান হিসেবে গড়ে তুলতে পারে.।’’
মহিন রহমান মাহী লিখেছেন, ‘‘তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মধ্যে আলো ছড়ানোর এমন প্রশংসনীয় উদ্যোগকে সাদুবাদ। এতে করে ভিক্ষাবৃত্তি-চাঁদাবাজি-যৌন ব্যবসা থেকে বেরিয়ে এসে ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে। সাথে কারিগরি শিক্ষা থাকলে ভালো হইতো।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।