পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উন্নয়ন সহযোগিতার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেনের মধ্যে এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সাক্ষাৎকালে তারা বাণিজ্য-বিনিয়োগ, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, ইজ অব ডুয়িং বিজনেস, আর্থিক খাতে গৃহিত পদক্ষেপ, দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, শিক্ষা-সংস্কৃতি, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্বাধীনতার পর থেকে নরওয়ে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। নরওয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। নরওয়ে বাংলাদেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাত বিশেষকরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী পরিবেশ, সুশাসন, জেন্ডার ও মানবাধিকার, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছে। ১৯৭১ হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নরওয়ে সরকার বাংলাদেশকে খাদ্যে ৮ দশমিক ১৮৮ মিলিয়ন, পণ্যে ১৮২ দশমিক ৯১৪ মিলিয়ন এবং প্রকল্পে ৫৮২ দশমিক ৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা প্রদান করেছে। অর্থমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূতের আলোচনায় এ বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সব চেয়ে ভালো বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয় প্রণোদনার সুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে অধিক হারে মুনাফার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ হচ্ছে একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। এখানে বিনিয়োগ করে কারোই কখন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে অভিষ্ট লক্ষ্যে।
আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম এবং এসডিজির লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে বিদেশী ঋণ এবং বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে, সম্ভাব্য উন্নয়নের অংশীদার হিসাবে নরওয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, জাহাজ তৈরি ও মেরামত খারখানা, পানি সম্পদ ও নদী ড্রেজিং, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন এবং যোগাযোগের মত গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশ দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রদূত দু’দেশের সম্পর্কোন্নয়নে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নরওয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ১০ বছর পূর্বে আমি বাংলাদেশে এসেছিলাম। কিন্তু সেই বাংলাদেশ আর এই বাংলাদেশ এক বাংলাদেশ নয়। বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি সাধন করেছে। দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়নসহ অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে নরওয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতার বহুবিধ সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দুদেশের পারস্পারিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।