Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৫টি আধুনিক জাহাজ কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২০, ৩:১০ পিএম

নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজসহ নতুন পাঁচটি আধুনিক জাহাজ কমিশনিং করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাহাজগুলোকে নৌবাহিনীতে কমিশনিং করেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ নৌবাহিনী তার ক্রমাগত অগ্রযাত্রায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। দিনটি শুধু বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নয়, সমগ্র দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরবের।’

এই কমিশনিং-এর ফলে বাংলাদেশের জলসীমা সুরক্ষায় এবং নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করলো নতুন দু’টি আধুনিক ফ্রিগেট বানৌজা ওমর ফারুক, আবু উবাইদাহ ও একটি করভেট যুদ্ধজাহাজ প্রত্যাশা এবং দু’টি জরিপ জাহাজ বানৌজা দর্শক ও তল্লাশী।

এর আগে চট্টগ্রামে বানৌজা ঈসা খান নৌ জেটিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল জাহাজসমূহের অধিনায়কগণের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানে নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকষ দল গার্ড অব অনার ও প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর ভাষণে আরো বলেন, ‘আধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জ্বিত দুইটি ফ্রিগেট ও একটি অত্যাধুনিক করভেট এবং আমাদের নিজস্ব খুলনা শিপইয়ার্ডে তৈরী দুটি আধুনিক জরিপ জাহাজ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নৌবাহিনীর ক্ষমতাকে আরও জোরদার করবে এটাই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’

‘ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আলোকে নৌ বাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রমে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সদ্য সংযোজিত হওয়া নৌবাহিনীর দুটি ফ্রিগেট ‘ওমর ফারুক’ ও ‘আবু উবাইদাহ’র দৈর্ঘ্য প্রতিটির ১১২ মিটার ও প্রস্থ ১২ দশমিক ৪ মিটার এবং করভেট যুদ্ধজাহাজ বানৌজা প্রত্যাশার দৈর্ঘ্য ৯০ মিটার ও প্রস্থ ১১ দশমিক ১৪ মিটার।

যুদ্ধজাহাজগুলো ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৫ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম এবং এতে শক্রু বিমান, জাহাজ এবং স্থাপনায় আঘাত হানতে সক্ষম আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কামান, ভূমি থেকে আকাশে এবং ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপনযোগ্য মিসাইল, অত্যাধুনিক থ্রিডি রাডার, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, রাডার জ্যামিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরণের যুদ্ধ সরঞ্জামাদিতে সুসজ্জিত।

সূত্র: বাসস



 

Show all comments
  • sats1971 ৫ নভেম্বর, ২০২০, ৯:১৩ পিএম says : 0
    Today Bangladesh Navy is developing day by day and making ships in Bangladesh.Two ships BNS Karnaphuli and Tista given Yugoslavia govt to Bangabandhu as friendship free gift for patrolling Bay of bengal while we have no money,empty bank because pakistani soldiers and navy all gold,dollars looted during liberation period and deposited west pakistan. This two ships commissioned by Bangabandhu.Now hundred and hundred ships in our fleet. Present govt bring supersonic frigate first time from South Korea and commissioned present govt and continued added new ships every day even submarine also. Sandwip Island is developing upazila in the bay of Bengal, Present govt established a Modern Naval establishment and Jetty and naval force and ships continued patrolling arounds the island for safety and security.Every day 500 people going and coming by speed boats to this Island .PM govt having best to development this Island modern city. Bangladesh Navy coordinated to the local govt to development and remove poverty from this island. Present govt want to laugh to the islands men women and children. If Bangabandhu alive today this navy will better to better from this stage.
    Total Reply(0) Reply
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৬ নভেম্বর, ২০২০, ১২:৫৪ এএম says : 1
    মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপনাকে হাজার সহস্র অভিনন্দন ও সালাম।আপনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাসার্বভৌমত্বের অতদ্র প্রহরী বিশালাকার কুটনৈতিক বিচক্ষন বুদ্ধিদীপ্ত রাষ্ট্রপ্রধান বিশ্বের প্রভাবশালী নেতা দক্ষিণ এশিয়ার জীবন্ত কিংবদন্তি নেতা আপনি। শতাব্দীর পর শতাব্দী চেষ্টা করেএই রকম নেতা পাওয়া য়ায় না।আমরা বাংলাদেশের মানুষ ভাগ‍্যবান আপনার মত নেতা পাওয়াতে। আলহামদুলিল্লাহ্। আপনি রক্তাক্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তির পায়রা উড়ানোর শান্তির বাংলাদেশের প্রতিষ্টাতা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বলির পাটা বানাতে চেয়েছিল পদ্ধাসেতুর কাজ বিশ্বব‍্যাংক দাতাদের অর্থবন্ধ পদ্ধাসেতু হবেনা। ঐ সময় দেশীয় আন্তর্জাতিক গন মাধ্যমে শিরোনাম হল বদনাম হলো মন্ত্রী বাদ। এই দেশের মানুষ পদ্ধাসেতুর আশা ছেড়ে দিয়েছিল। আপনি তেজুদীপ্ত আর্থবিশ্বাসে সাহসী কন্টে ঘোষণা পদ্ধাসেতুহবে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে। আজ পদ্ধাসেতু দিশ‍্যমান।আলহামদুলিল্লাহ্ব। বঙ্গবন্ধুর সন্তান ছাড়া আর কাওকে দিয়ে কল্পনা যাবে?? আপনি আকাশ বিজয়ী আপনি সাগর বিজয়ী। আজ বাংলাদেশের একলক্ষ বিশ হাজার বর্গ মাইলে বিশাল জলসিমার নিরাপত্তাব্যবস্থা শক্তিশালী সোনালী দিন শুভকামনা শুভ যাত্রার মাঝেই বাংলাদেশের সোনালী অধ‍্যায়ের সুচনা হবে ইনশাআল্লাহ। ব্লুইকোনিমির মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে আপনার বাংলাদেশ হবে অর্থনৈতিক পরাশক্তি। আলহামদুলিল্লাহ্। বাংলাদেশের লক্ষ কোটি জনসাধারণ জাতীয় নিরাপত্তায় নিয়োজিত অতদ্র প্রহরী সমস্ত বাহিনী বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ বিশ্বনেতা দক্ষিণ এশিয়ার জীবন্ত কিংবদন্তি অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরুষ্কারপ্রাপ্ত শান্তির মা জননী আন্তর্জাতিক ভাবে বিশ্ব মানবতার মা। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরাশক্তির জীবন্ত কান্ডারী।প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে পাশ্ববর্তীরা অনেক গুলো সুচকে পিছনে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশ হবে উন্নয়ন অগ্রগতির। বাংলাদেশের প্রতিষ্টাতা জাতির মহান নেতা জাতির পিতার জর্মশত বার্ষিকীতে হোক অর্থনৈতিক পরাশক্তিরবাংলাদেশ। শান্তির বাংলাদেশ। উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশ। আপনার শারীরিক সুস্থতা দীর্ঘায়ু কামনায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Nadim ahmed ৭ নভেম্বর, ২০২০, ৮:৪২ পিএম says : 0
    Now Bangladesh Navy will forget the beating on Lt. Wasif and his wife by Irfan Saleem. What about the teeth? Let's forget about it.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ