Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

রিমান্ড শেষে দেহরক্ষীসহ কারাগারে ইরফান সেলিম

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের (বরখাস্ত) কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জিয়াউর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে একই মামলায় দুদিনের রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মবিনুল হক তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন খারিজ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদ গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে গত ১ নভেম্বর তাদের দুজনের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে একই মামলায় গত ২৮ অক্টোবর আদালত তাদের দুজনকে তিন দিন করে রিমান্ডে দিয়েছিলেন। গত ২৬ অক্টোবর সকালে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

উল্লেখ্য, গত রোববার ২৫ অক্টোবর রাতে এমপি হাজী সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও সোমবার ২৬ অক্টোবর ভোরে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে দুপুরে ইরফানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ওইদিন পুরান ঢাকার তার বাসায় অভিযানও পরিচালনা করে র‌্যাব। অভিযানে ৩৮টি ওয়াকিটকি, ৫টি ভিপিএস সেট, অস্ত্রসহ একটি পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফকেস, একটি হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং সাত বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে কারাগারে পাঠান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাস ও বিদেশি মাদক রাখার দায়ে ছয় মাস করে মোট এক বছর করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে। নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর এবং বাড়ি তল্লাশির পর র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত একবছরের কারাদন্ড দেয়ায় ইরফানকে কাউন্সিলরের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাজী সেলিম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ