পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে পুরো বিশ্বের মতো বাংলাদেশও এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। ভোটগ্রহণেষর শুরু থেকেই সরব রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। দেশীয় নির্বাচনের আমেজকে ছাড়িয়ে দেশটির ভোটকে ঘিরে দেখা যাচ্ছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনা। দৃশ্যত কারণেই প্রশ্নে উঠেছে নির্বাচন কোথায় হচ্ছে আমেরিকা না বাংলাদেশ।
আজ সোশ্যাল মিডিয়া জুড়েই আলোচনার বিষয় এখন আমেরিকার নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা। কে কত ভোটে এগিয়ে আছেন, কে হচ্ছেন আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট- এসব ঘিরেই চলছে এই উদ্দিপনা। ঠিক আগেকার দিনে যেমনটা উৎসাহ-আগ্রহ দেখা যেত বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল তার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘‘অসীম উৎসাহ আর উত্তেজনা নিয়ে আমেরিকার নির্বাচন দেখছি। আহা: এমনভাবে
একসময় আমাদের নির্বাচনের দিনও হুমড়ি খেয়ে থাকতাম টিভির সামনে। সেসব একযুগ আগের কথা। আমাদের তরুণ প্রজন্ম জানলো না নির্বাচন কাকে বলে, ভোটারের শক্তি আর মর্যাদা কতোটুকু। আমাদের অধিকার, আমাদের অংশগ্রহন, আমাদের নাগরিক সত্তাকে যারা হরণ করেছে ধিক্কার তাদের।’’
জামিল আর কারিম লিখেছেন, ‘‘আমেরিকার মত বাংলাদেশেও যদি নির্বাচনে এরকম একটা টানটান উত্তেজনা থাকতো! দুঃখ লাগে, এ দেশের একটি প্রজন্ম তাদের কৈশর ও যৌবন সুষ্ঠ নির্বাচন ছাড়াই কাটিয়ে দিলো। ২০০১ সাল একটু আধটু মনে পড়ে, তখন নির্বাচন মানেই ছিলো ঈদের আমেজ, যা আজ মুক্তিযুদ্ধের মত ইতিহাস মাত্র।যারা রাতের বেলা কেন্দ্র দখল করে এবং ভোট চুরি করে ক্ষমতার মসনদে বসে আছে তাদের একটু হলেও আজ লজ্জা পাওয়া উচিৎ।’’
বাহরাম খান লিখেছেন, ‘‘আমাদের নীরস জাতীয় নির্বাচনের কারণে আমেরিকার সরস নির্বাচনে আমাদের ব্যাপক আগ্রহ। সেই রকমের লড়াই দেখছি। যদিও আপাতত আমার পছন্দের প্রার্থী জো বাইডেন এগিয়ে। কিন্তু এখনও অনেকগুলো ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট বাকি রয়ছে তাই খেলাটা বেশ জমে উঠছে।’’
কাজী ফারুক লিখেছেন, ‘‘আহারে ভোট! কোন দিন আমাদের দেশেও এই ভাবে ফিরে আসবে! টিভি'র সামনে বসে কোন দিন মজা করে দেখবো ভোট গননা! নিরাপদে নারীরা তার ভালবাসার প্রার্থীকে দিতে পারবে ভোট, থাকবে না কোন ধর্ষক সুবর্নচরের সেই কুলাঙ্গার রুহুল আমিনরা।’’
মাসুদ আলম লিখেছেন, ‘‘আমরা আমাদের দেশে ভোট দিতে পারিনা এর চেয়ে কষ্ট আর কি আছে! আমরা আমেরিকার নির্বাচন দিয়ে কি করব? নিজের দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমরা পাইনা।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।