পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৮ সালের পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের অনেক চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র হয়েছে কিন্তু তা সফল হয়নি। জনসমর্থন না থাকলে ষড়যন্ত্র করে হত্যাকান্ড ঘটানো যায়, কিন্ত ক্ষমতায় আসা কিংবা টিকে থাকা যায় না। তাই আওয়ামী লীগকে নিয়ে যত বেশি নাড়াচাড়া কিংবা ষড়যন্ত্র করা হবে, আওয়ামী লীগের জনসমর্থনের শিকড় আরও বেশি শক্তিশালী হবে- এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। জনগণের সমর্থন নিয়েই প্রতিবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনগণের মঙ্গলে ও কল্যাণে কাজ করেছে, যার শুভ ফলও জনগণ পাচ্ছে। এতো অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যাকান্ডের পরও আওয়ামী লীগ টিকে আছে শুধুমাত্র জনগণের সমর্থনেই।
নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীদের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, কারোর দয়া বা দাক্ষিণ্যে নয়, আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থন নিয়েই চার চারবার ক্ষমতায় থেকে দেশের সেবা করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে কাজ করে বলেই ক্ষমতায় টিকে আছে। যারা ক্ষমতায় থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গীবাদ সৃষ্টি ও মানুষ হত্যা করে, দেশের কল্যাণ করতে পারে না, অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর হাতে যে দলের জন্ম- তাদেরকে (বিএনপি) কেন দেশের জনগণ ভোট দেবে?
গতকাল জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে সমস্ত সন্ত্রাসী, খুনিচক্র ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্র তারা বসে নেই। ১৫ আগস্ট ও ৩ নবেম্বরের ঘটনা ঘটিয়েও তারা ক্ষমতাকে ভোগ করতে পারেনি জনগণের কারণে, এটাই তাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ।
নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীদের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে হয়তো ভুলে যান, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে শুধুমাত্র ভোট চুরির অপরাধেই খালেদা জিয়াকে দেশের জনগণ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মাত্র দেশমাসের মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য করিয়েছিল। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে দেশকে দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিল, বাংলা ভাই-জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করেছিল।
তিনি বলেন, দেশের একটি শ্রেণী আছে তাদের কাজই হচ্ছে সরকারের সমালোচনা করা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অবৈধভাবে জিয়া, এরশাদ এবং এরপরে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছে। এদের মূল লক্ষ্যই ছিল- দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, খুন ও সমাজে সংঘাত সৃষ্টি করা।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জঙ্গীবাদের কারণেই দেশে ওয়ান ইলেভেনের সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারও খালেদা জিয়ার হাতেই তৈরি। প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন আহমদকে খালেদা জিয়াই নিয়ে এসে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর বানিয়েছিল। ৯ সিনিয়র জেনারেলকে ডিঙ্গিয়ে মঈন উ আহমদকে সেনা প্রধানও করেছিলেন এই খালেদা জিয়া। এরা সবাই তাঁর পছন্দের লোক ছিলেন। কিন্তু ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন দল গঠনের চেষ্টা করলো। যাকে আমি গ্রামীণ মোবাইল ফোনের লাইসেন্স দিয়েছিলাম সেই ড. মুহাম্মদ ইউনুস আর ডেইলী স্টারের সম্পাদককে নিয়ে নতুন দল গঠনের চেষ্টা করা হলেও জনগণ তাতে সমর্থন দেয়নি।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আরেকজন যিনি মারা গেছেন (ফেরদৌস আহমেদ কোরাইশি), তাকে নিয়ে কিছু বলতে চাই না, তাকে দিয়েও কিংস পার্টি গঠনের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেখানেও জনগণ কোন সাড়া দেয়নি।
আক্ষেপ করে সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বেসরকারি টেলিভিশনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। কিন্তু এখানেই একেক জন একেক কথা বলেন। ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর হত্যাকান্ডের সঙ্গে খুনী মোশতাক ও জিয়াউর রহমান জড়িত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনী মোশতাক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেই প্রথমে জিয়াউর রহমানকে সেনা প্রধান করে। এতেই স্পষ্ট হয়, এই ষড়যন্ত্রে খুনী মোশতাকের ডানহাত ছিল এই জিয়াউর রহমান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় শুধু ক্ষমতা দখল নয়, খুনীদেরকে ইনডেমনিটি দেয়া এবং আমাদের যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সেই চেতনা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে নিয়ে যাওয়া শুরু করলো এবং সারা বাংলাদেশটা হয়ে গেল একটা খুনীদের রাজত্ব। জেলহত্যাকান্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খুব স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে, সবসময় সূর্য ডোবার আগেই কারাগার লকআপ হয়। এরপর কেউ আর প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু সেইদিন গভীর রাতে যখন কারাগারে এই ১৫ আগস্টের খুনীরা হাজির হল প্রবেশ করার জন্য, তখন কারাগারের যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল তারা সেখানে বাধা দিয়েছিল। কারণ তারা বলেছিল এভাবে কারাগারে প্রবেশ করা যায় না। সেই সময় অজ্ঞাত স্থান থেকে টেলিফোন যায় যে, তাদেরকে প্রবেশ করতে দেয়া হোক। এরপরই খুনীরা কারাগারে চার জাতীয় নেতাকে একটি ঘরে নিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে।
তিনি বলেন, শুধু হত্যাকান্ডই নয়, একটা জাতিকে ও একটা প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। একের পর এক ক্যুর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসার, সৈনিক, আওয়ামী লীগের অগনিত নেতাকর্মীকে হত্যা ও গুম করা হয়েছিল, কত পরিবার লাশ খুঁজে পায়নি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকতে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।