Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম ও জনস্বাস্থ্যের পরিচালক আব্দুর রহিম ওএসডি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০২০, ৬:৪০ পিএম

রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া এবং জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আব্দুর রহিমকে তাদের স্ব স্ব পদ থেকে সরিয়ে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের পরিচালক হিসেবে ডা. তানভীর আহমেদ চৌধুরীকে ন্যস্ত করা হয়েছে। নিয়মিত পরিচালক পদায়ন না করা পর্যন্ত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপ পরিচালক ডা. কে এম মামুন মোর্শেদকে আপাতত পরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হলো।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের পরিচালক আবদুর রহিম সরকারি নীতি বর্হিভূত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সেখনে বলা হয় ‘অত্র ইনস্টিটিউটের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অফিস চলাকালীন সময়ে মোবাইল সাইলেন্ট/বন্ধ রাখা এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পুরুষ টাকনুর ওপরে এবং মহিলারা হিজাবসহ টাকনুর নিচে কাপড় পরিধান করা আবশ্যক এবং পর্দা মানিয়া চলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

এর প্রেক্ষিতে ওই দিনই ডা. মুহাম্মদ আব্দুর রহিমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে পরিচালকের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়ে দুঃখ প্রকাশ করে নির্দেশনা বাতিল করেন প্রতিষ্ঠান পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আবদুর রহিম।

এদিকে, বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে হাসপাতালে যন্ত্রপাতি কেনা-কাটা করে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করার প্রমাণ পাওয়ায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়াসহ তিন চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অভিযুক্ত অন্য চিকিৎসকরা হলেন- ডা. সৌমিত্র সরকার ও ডা. রতন দাস গুপ্ত। চিঠিতে বলা হয়, ওই তিন চিকিৎসক বিভিন্ন সরঞ্জামের মূল্য যাচাই না করে অতিরিক্ত বাজার দর নির্ধারণ করেছেন। এতে সরকারের ছয় কোটি ৪০ লাখ ৩১ হাজার ৮০০ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ