পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় কোনো ব্যক্তিগত হত্যাকাণ্ড নয়, বাঙালিকে নেতৃত্বশূন্য করে স্বাধীন বাংলাদেশকে আবার নব্য পাকিস্তানে রূপান্তর করাই ছিল স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতক চক্রের মূল লক্ষ্য।
জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে ১৯৭৫ সালে জাতীয় চার নেতার সঙ্গে একই কারাগারে থাকা আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা এক ভিডিওবার্তায় স্মৃতিচারণে এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ওইদিন রাত ২টা ২০ মিনিটে প্রথম ব্রাশ ফায়ারের শব্দ শুনতে পাই। ২০ মিনিট পর আবারো ব্রাশ ফায়ার। ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর কাতরানোর শব্দ শুনে জাতীয় সব নেতার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঘাতকরা আবারো ব্রাশ ফায়ার করে এবং বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। জেলের ভিতরে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড বিরল ঘটনা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্র যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়, তারই ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তার নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে জাতীয় চার নেতা যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন তা কোনোদিন ভোলার নয়।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়ার সমালোচনা করেন আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা ইনডিমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে গলা টিপে হত্যা করে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন, বিভিন্ন দূতাবাসে পদায়ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে তার আসল চেহারা উম্মোচন করে। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না থাকা সত্ত্বেও তাকে দেশে এনে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয় জিয়াউর রহমান।
আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে বাংলাদেশকে যারা নব্য পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল সেই শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল্যবোধকে আবার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার যোগ্য নেতৃত্বেই সব সংকট উত্তরণ করে উন্নয়ন আর অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
ভিডিওবার্তায় তিনি জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।