পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সংকটের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আরো আন্তরিক হতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভাণ্ডারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) অনুদানের কম্বল গ্রহণকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আসন্ন মৌসুমে শীতার্ত মানুষকে সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভাণ্ডারে অনুদান হিসেবে ২৫ লাখ ৯৫ হাজার কম্বল দিয়েছে ৩৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অনুদানের এসব কম্বল গ্রহণ করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রণোদনা প্যাকেজে আমরা যেসব সুযোগ দিয়েছি তাতে অল্প সুদে আমরা বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার একটা পদক্ষেপ নিয়েছি। তবে এ ব্যাপারে আমি মনে করি আমাদের বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে আরেকটু আন্তরিক হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, আপনারা যেহেতু প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের পাশে দাঁড়ান, সেভাবেই আমি বলবো যে এক্ষেত্রেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
বাণিজ্যিক ব্যাংক মালিকদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি এটা একটু আপনাদের চাপ পড়ে বেশি, খরচ পড়ে বেশি। সরকারিভাবে আমরা দিয়ে যাচ্ছি কিন্তু বেসরকারি ব্যাংকগুলোও যদি এদিকে এগিয়ে আসে…। শুরুতে হয়তো একটু সমস্যা হবে। কিন্তু পরবর্তীসময়ে এরা যখন ব্যবসা-বাণিজ্য চালু করতে পারবে তখন বেসরকারি ব্যাংকগুলোই কিন্তু লাভবান হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
দেশে গৃহহীনদের জন্য ঘর করে দিতে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিবর্ষে দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না- সরকারের সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।
ব্যাংকগুলোকে গৃহহীনদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় যদি কেউ ভূমিহীন থাকে, গৃহহীন থাকে আপনারাও তাদের কিছু ঘরবাড়ি তৈরি করে দিতে পারেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে দিচ্ছি, আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও দিচ্ছে। সেখানে আপনারাও সেভাবে একটু সহযোগিতা করতে পারেন, মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেন।
ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, সরকার ব্যাংক ব্যবহারে সবাইকে উৎসাহিত করছে, এতে সবাই লাভবান হচ্ছে। আমরা রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় এখন সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকাটা আসছে। তাতে আমার যেমন রেমিট্যান্স বাড়ছে আবার ব্যাংকেরও কাজ বাড়ছে। তারাও সুযোগ পাচ্ছেন।
ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশের সবাইকে আগের চেয়ে বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু আপনারা দেখেছেন ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে আবার করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে এখন থেকেই সচেতন হতে হবে। এখন আমাদের আগের চেয়ে সচেতন হতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এরইমধ্যে আমরা কিন্তু এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সবাইকে আহ্বান করছি যে আপনার একটু সচেতন হোন, সবাই নিজেকে সুরক্ষিত করুন, অন্যকে সুরক্ষিত করুন। যাতে সেভাবে আমরা যেন এই করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারি, রক্ষা করতে পারি। সেদিকে আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিচ্ছি শুরু থেকে।
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় অর্থনীতির ওপর যেন প্রভাব না পড়ে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতির উপর যেন কোনোরকম প্রভাব না পড়ে, মানুষের জীবনযাত্রা যেন ঠিক থাকে। আর আমাদের অর্থনীতির চাকাটা যেন সচল থাকে- এটাই আমরা চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।