পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেছেন, সাংবাদিকদের সত্য অনুসন্ধান করার সুযোগ দিন। তাদের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে সব তুলে নিতে হবে। শুধু তাই নয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কবরে পাঠাতে হবে। তাহলে আপনারই লাভ হবে। দেশের লাভ হবে। দেশ-গণতন্ত্রের দিকে প্রসারিত হবে।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে আহŸান করেছেন কোনো প্রকার হলুদ সাংবাদিকতা যেন না হয়। কিন্তু হলুদ সাংবাদিকতা তো আপনি সৃষ্টি করছেন। মনে রাখতে হবে সাংবাদিকরা হলেন- সত্য অনুসন্ধানী, সবসময় সত্য প্রকাশ করে। আপনার সরকারের সবচেয়ে বড় বন্ধু হলো সাংবাদিকরা। তারা প্রকৃত তথ্যকে আপনার সামনে তুলে ধরেন। সেই সাংবাদিকদের কণ্ঠ যখনই রোধ করেন তখনই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মুক্ত সাংবাদিকতার প্রধান বাধা। এই আইন দিয়ে সরকার সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করছে। প্রকৃত অর্থে সরকারের ভুল নীতি দেশকে বাধ্য করছে একটা ভুল পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য।
সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর কথা উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকেই তাকে মুক্তি দিন। সাংবাদিকদের মুক্তি দিয়ে বলেন- সত্য কথা বলুন, সত্য প্রকাশ করুন। তাহলে দেশের জন্য মঙ্গল হবে। আর নাহলে ক্রমেই দেশ জঙ্গিবাদের দিকে যাবে। এর দায় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে নিতে হবে।
তিনি বলেন, আজ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সম্মিলিতভাবে কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরে আসবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের সত্য অনুসন্ধান করার সুযোগ দিতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে যত মামলা আছে সব তুলে নিতে হবে। শুধু তাই নয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জিনাফের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।