পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের বাড়ির পাশে চকবাজারে একটি টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। এছাড়া নিষিদ্ধ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে পুরান ঢাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন ইরফান সেলিম। ইরফান সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে সরকার নিষিদ্ধ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, বিদেশি মদ, অস্ত্র, চাইনিজ কুড়াল প্রভৃতি উদ্ধার করেছে র্যাব।
র্যাবের একজন কর্মকর্তা জানান, হাজী সেলিমের বাড়ির পাশে চকবাজারে একটি টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। বিষয়টি ভাল করে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিষিদ্ধ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে পুরান ঢাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন ইরফান সেলিম। এর মাধ্যমে চাঁদাবাজিসহ অপরাধমূলক কার্যক্রম চালানো হতো।
অভিযানের পর গতকাল সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আশিক বিল্লাহ বলেন, সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য ও আলামতের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়েছি। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের পাশে ইরফানের একটি টর্চার সেল ছিল। সেখান থেকে হ্যান্ডকাফ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তিনি বিভিন্ন জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করতেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে নিয়মিত মামলা করবো।
আশিক বিল্লাহ আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরফান সেলিম জানিয়েছেন, এসব ওয়াকিটকির মাধ্যমে তিনি তার বাসার আশপাশের ১২ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা নেতাকর্মী ও অনুসারীদের সঙ্গে কথাবার্তা এবং যোগাযোগ রাখতেন। উদ্ধার ভিপিএস সেটগুলোকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সনাক্ত বা পর্যবেক্ষণ করতে পারত না।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, উদ্ধার অস্ত্র ও হ্যান্ডকাফের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি ইরফান সেলিম। আমাদের ধারণা এগুলো দিয়ে তিনি সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখাতেন। তার অস্ত্র দুটির কোনো লাইসেন্স ছিল না। অভিযানের আগেই আমাদের টিমের সদস্যরা হাজী সেলিমের ছেলেকে হেফাজতে নেয়। ইরফান সেলিম নিজেও একজন জনপ্রতিনিধি। আমারা থানা পুলিশের মাধ্যমে আদালতের কাছে সোপর্দ করবো।
বিধি অনুসযায়ী ব্যবস্থা নিবে স্থানীয় সরকার বিভাগ : ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা হওযায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সিটি কর্পোরশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিষয়ে লিখিতভাবে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে। এরপর আমরা বিধি অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নিবো।
সরেজমিনে বাড়ির ভিতরে ঘুরে র্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাজী সেলিমের ছেলে পুরান ঢাকা তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য সম্পূর্ণ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের মধ্যে রেখেছেন। এজন্য তিনি অবৈধভাবে ভিপিএস ডিভাইস ব্যবহার করতেন। এই ডিভাইস আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ট্র্যাক করতে পারেন না। সরকারি অনুমোদ ছাড়াই তিনি এই ভিপিএস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম করেছিলেন। এসব ডিভাইসের মাধ্যমে তিনি ঘরে বসেই পুরো পুরান ঢাকার তথ্য সংগ্রহ করতে পারতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।