Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

শুরু হয়নি বিসিএস প্রশাসন একাডেমির ভবন নির্মাণ কাজ

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষিত

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দেওয়ার পরও বাস্তবায়ন হচ্ছে না আন্তর্জাতিক মানের বিসিএস প্রশাসন একাডেমির (প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স) নির্মাণ কাজ। গত ৫ বছর ধরে দুই মন্ত্রণালয়ের চিঠি চালাচালির মধ্যে আটকে আছে। এখনো ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়নি। 

ঢাকার জেলার কেরানীগঞ্জের মুগারচরে আন্তর্জাতিক মানের বিসিএস প্রশাসন একাডেমির নির্মাণে প্রায় ৪২ একর জমি অধিগ্রহণের অনুমোদন দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সম্ভব্যতা সমীক্ষার জন্য একটি টিএপিপি খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত নির্দেশনা বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন স্বাক্ষরিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবকে পাঠানো অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান সরকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী ১৪টি দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে ২৩টি দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এগুলোর মধ্যে ৭টি নির্দেশনা ও পূর্বের ২টিসহ মোট ৯টি নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মনিটরিং টোলে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের মুগারচরে আন্তর্জাতিক মানের বিসিএস প্রশাসন একাডেমির (প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স) নির্মাণে প্রায় ৪২ একর জমি মধ্যে ২০ একর জমিতে প্রশাসন একাডেমী সম্প্রসারিত ক্যাম্পাসের কার্যক্রম দ্রæত করা হবে। আর বাকি ২১.৭০ একরে অন্যান্য ভবন হবে। এছাড়া প্রকল্প এলাকায় ধলেশ্বরী নদী পড়ার কারণে নদীর ভাঙনের সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারণে প্রকল্প এলাকায় কোনো কোনো স্থান নদীর ভাঙনের সম্ভাবনা রয়েছে। সে বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে হাইড্রো মরফোলজিক্যাল সার্ভে করতে বলা হয়েছে। সার্ভে করার জন্য গত ২০১৯ সালে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়।
এছাড়া প্রস্তাবিত প্রকল্পের এলাকায় যাতায়াতের রাস্তা প্রশস্তকরণের জন্য প্রধান প্রকৌশলী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়া হয়ছে। তখন থেকে কাজ না করায় চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি আবারো চিঠি দেয়া হয়। দুই মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়ার পরেও কাজ শুরু করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রস্তাবিত প্রকল্পে ৪১ দশমিক ৭১ একর জমি অধিগ্রহণের ভূমি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ে থেকে সেই চিঠি ঢাকা জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসক উক্ত প্রকল্প এলাকায় জমির দাগ, খতিয়ানসহ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠালে পরে মন্ত্রণালয় জমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এর পরে কি কি স্থাপনা ও ভবন করা হবে, তখন আবার একটি সার্ভে করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারীর প্রতিবন্ধী সন্তানদের পুনর্বাসনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ও নির্দেশানা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনায় অগ্রগতিতে বলা হয় আগামী দুই মাসের মধ্যে ডিপিপি প্রণয়ন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সর্বস্তরে সুশাসন নিশ্চিতকরণ ও জনসেবার মান উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এতটাই বৃদ্ধি করা হয়েছে যে, তাদের আর কোনো দুর্নীতি করার কারণ নেই। এর পরও কেউ দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এ বার্তা প্রশাসনের প্রতিটি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পৌঁছে দিতে হবে। এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মাঠ প্রশাসনসহ সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে দায়েরকৃত মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে আরো তৎপর হতে হবে। এ জন্য নতুন উদ্যোগ নেয়ার প্রস্তাব করা হয়। সেটি হচ্ছে- অ্যাটর্নি সার্ভেস গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ