Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গাসহ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান

জাতিসংঘ দিবসের বাণীতে প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০০ এএম

বিশ্ব এখনও দারিদ্র্য, ক্ষুধা, সশস্ত্র সংঘাত, সন্ত্রাসবাদ, নিরাপত্তাহীনতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘকে কার্যকর ও দৃঢ় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শনিবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনও রোহিঙ্গা সংকটের মতো দৃশ্যমান অনেক সমস্যা রয়েছে, যেগুলো সমাধানে জাতিসংঘ আরও কার্যকর ও দৃঢ় ভূমিকা নিতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব এখনও দারিদ্র্য, ক্ষুধা, সশস্ত্র সংঘাত, সন্ত্রাসবাদ, নিরাপত্তাহীনতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। এ সব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন একীভূত প্রচেষ্টা এবং বড় ধরনের পদক্ষেপ। তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো পরস্পর সংযুক্ত এবং এগুলো শুধু বহুপক্ষীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। ভবিষ্যতের মহামারিসহ অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ আমরা শুধু ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে পারি।

৭৫ বছর আগে জাতিসংঘ যখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সে সময় আর বর্তমান বিশ্ব ভিন্ন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আশা করি জাতিসংঘ সবসময় সব দেশের বিশ্বস্ত অংশীদার হয়ে থাকবে। জাতিসংঘকে ভবিষ্যতের জন্য একটি বাস্তব ও অর্থবহ রোডম্যাপ প্রণয়নের তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি বাস্তব ও অর্থবহ রোডম্যাপের মাধ্যমে জাতিসংঘ নিরাপদ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে পারে, যেখানে শান্তি ও উন্নয়নের নিশ্চয়তা থাকবে এবং মানবাধিকার থাকবে সুরক্ষিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শান্তিপূর্ণ, টেকসই, সার্বজনীন ও ন্যায়ভিত্তিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এ বছরটি বাংলাদেশের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রথম বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তির প্রতি দ্ব্যর্থহীন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন দেশের মধ্যে সংহতির ওপর জোর দেন। বহুপক্ষীয়তার পক্ষে কথা বলেন এবং জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন উন্নয়নের আহ্বান জানান। জাতিসংঘের সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততা তার প্রাজ্ঞ দর্শন এবং দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে ২০২০ একটি চ্যালেঞ্জিং বছর। মহামারিটি সারা বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে চলেছে। এটি আমাদের সমাজ, অর্থনীতি, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, জীবন-জীবিকা, ব্যবসা ও রফতানি আয়ের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছে। শুধু একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমেই আমরা এ মহামারির অবসান ঘটাতে পারি এবং এর পরবর্তী প্রভাব কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পারি। বাংলাদেশকে জাতিসংঘের একটি দায়িত্বশীল সক্রিয় সদস্য। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সুরক্ষা বজায় রাখতে বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, আমাদের সরকার এসডিজি বাস্তবায়ন, নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিসহ বৈষম্য হ্রাস করার ক্ষেত্রে অনুকরণীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১১ বছর ধরে আমাদের অর্থনৈতিক পারফরমেন্স দুর্দান্ত। ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার অভিযাত্রায় আমরা সঠিক পথে রয়েছি। ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের এ পরিবর্তনশীল বিশ্বে জাতিসংঘ সব দেশের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। একটি সুনির্দিষ্ট ও অর্থবহ রোডম্যাপের সাহায্যে জাতিসংঘ আমাদের সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ গড়ার পথনির্দেশক হতে পারে, যেখানে নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং মানবাধিকার সুরক্ষিত হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ