পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাওনা দেড় লাখ টাকা চাওয়ায় খুন হন বিকাশ এজেন্ট বিজয় কুমার বিশ্বাস (৩০)। এই ঘটনায় জড়িত ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানকে (৪০) গ্রেফতারের পর গতকাল শনিবার এ তথ্য জানান সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ। বিজয় কুমারকে খুনের ১০ দিনের মাথায় চাঞ্চল্যকর এ মামলার রহস্য উদঘটনা হলো বলেও জানান তিনি।
গত ১৫ অক্টোবর নগরীর পাহাড়তলী থানার অলঙ্কার মোড়ের আলিফ গলির সামনে থেকে তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বিজয়ের লাশ শনাক্ত করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় তার বড় ভাই সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন। প্রথমে থানা-পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। পরে সিআইডিকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়।
গ্রেফতার আব্দুর রহমানের বরাত দিয়ে সিআইডি কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ খালেদ বলেন, নগরীর ইপিজেড নেভি হাসপাতাল গেইট এলাকায় একই মার্কেটে দোকান ছিল আবদুর রহমান ও বিজয় কুমার বিশ্বাসের। বিজয় কুমার বিশ্বাসের কাছ থেকে আবদুর রহমান দেড় লাখ টাকা ধার নেন নয় মাস আগে। শর্ত ছিল মাসে মাসে লাভ দিতে হবে। কয়েক মাস পর লাভ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে মূল টাকা ফেরত চান বিজয়। আর টাকা যাতে দিতে না হয়, সে জন্য বিজয় কুমার বিশ্বাসকে গলায় তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। পরে লাশ বস্তাবন্দী করে ইপিজেড থেকে পাহাড়তলী এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, ১৪ অক্টোবর সকালে দোকান খুলতে গেলে বিজয়কে আবদুর রহমান তার দোকানে ডেকে নেন। পরে কর্মচারী নাছির উদ্দিনকে নিয়ে দোকানের ভেতর গলায় ইন্টারনেটের তার পেঁচিয়ে বিজয়কে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
সারা দিন লাশটি বস্তাবন্দি করে দোকানে রেখে দেয় তারা। রাতে পাহাড়তলী অলঙ্কার মোড় এলাকায় তার বাসার অদূরে বস্তাবন্দি লাশ ফেলে যাওয়া হয়। পলাতক দোকান কর্মচারী নাছির উদ্দিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।